বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়টা কিছুতেই ভালো যাচ্ছে না দেশে তৈরি সেমি হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) স্বপ্নের এই ট্রেন মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিতীয়বার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। এমনিতেই গত বৃহস্পতিবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে তিন-চারটি মোষ। যার জেরে ট্রেনটির সামনের অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি, মুহূর্তের মধ্যে সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। তবে, এবার শুক্রবার ফের একটি গরুকে ধাক্কা দেয় ওই ট্রেন। যদিও, দ্বিতীয়বারের ধাক্কাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বৃহস্পতিবারের তুলনায় অনেকটাই কম।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল ৩.৪৪ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি গান্ধীনগর থেকে মুম্বাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়েই ভাদোদরা ডিভিশনের আনন্দের সামনে আচমকাই একটি গরু চলে আসে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সামনে। এদিকে, দুর্ঘটনার কারণে প্রায় ১০ মিনিট ট্রেন থামিয়ে ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হয়। জানা গিয়েছে, গরুর সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ট্রেনটির সামনের দিকের বাম্পারের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, পরপর দু’দিন এভাবে গবাদি পশুর ধাক্কায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব অবশ্য জানিয়েই দিয়েছেন যে, এই ধরণের ঘটনার ঝুঁকির প্রসঙ্গটি এই সেমি হাই স্পিড এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করার আগেই ভাবা হয়েছে। এগুলো এড়ানো যাবে না।
মূলত, গত বৃহস্পতিবার গুজরাতের আমেদাবাদের কাছে মোষের পালের সঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ধাক্কা লাগার পরেই একদিনের মধ্যে মুম্বইয়ের সেন্ট্রাল ডিপোতে ক্ষতিগ্রস্ত কোচের সামনের অংশটি বদলে দেওয়া হয়। এই রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য কোনো অতিরিক্ত সময় খরচ হয়নি। শুধু তাই নয়, যে মোষের ধাক্কায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, ওই মোষের মালিকের বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইনের ধারা মেনে RPF-এর তরফে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রী নিরাপত্তার প্রসঙ্গে পশ্চিম রেলওয়ের (Western Railway) জনসংযোগ বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই ধরণের দুর্ঘটনার কথা ভেবেই ট্রেনের নোজ কোনটি তৈরি করা হয়েছে ফাইবার রিইনফোর্সড প্লাস্টিক দিয়ে। মূলত, এই নোজ কোন কভারটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে কোথাও সংঘর্ষ হলেও সেই সংঘর্ষের প্রভাব শুধুমাত্র ওই অংশটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। যার ফলে ট্রেনের বাকি অংশে কোনোরকম ক্ষতি হবে না। পাশাপাশি, পরবর্তী সময়েও যদি এই নোজ কোন কভারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা দ্রুত বদল করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে নোজ কোন কভার রাখা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।