বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প আবাস যোজনায় (Awas Yojana) বঞ্চিত বাংলার মানুষকে নিজস্ব কোষাগার থেকেই বাড়ি তৈরির টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে অনেকেই বাংলার আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন তপন গড়াই, আজমিরা খাতুন,শেখ মোশারফ। শুধু তাঁরাই নয় এমন আরও অনেকেই রয়েছেন যারা শুধুমাত্র একটা ফোন করেই মাথার উপর পাকা ছাদ পেয়েছেন।
একসাথে ৭৩ পরিবার পেল আবাসের (Awas Yojana) টাকা
জানা যাচ্ছে হাওড়া গ্রামীণের শ্যামপুর ২ নম্বর ব্লকের মোট ৭৩ টি পরিবার ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেই আবাস প্রকল্পে (Awas Yojana) বাড়ি পেয়েছেন। তবে প্রথম পর্বে আবাস তালিকার নাম না আসায় হতাশ হয়েছিলেন তাঁরা। অবশেষে তাদের জন্য মুশকিল আসানের উপায় বলে দিয়েছিলেন শ্যামপুর ২ নম্বর ব্লকের ডিহিমণ্ডলঘাটের এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উপ–প্রধান। তাঁর পরামর্শ মতই এই এলাকার মোট ৭৩টি পরিবার ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে পেয়ে গিয়েছেন বাড়ি তৈরির টাকা।
হাওড়া গ্রামীণের রূপনারায়ণ নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত এই ডিহিমণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অর্থনীতি মূলত ইঁট শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তাই স্থানীয় বহু মানুষজন ইঁটভাটার কাজ করে জীবিকা অর্জন করে থাকেন। নদী কেন্দ্রিক এলাকা হওয়ার কারণে বহু মানুষ নির্ভর নদীর উপরে নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। অর্থ সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা এই এলাকার বহু বাসিন্দার মাথার ওপর পাকা ছাদের বাড়ি নেই।
ডিহিমণ্ডলঘাট গ্রামের অনেকেই আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্পের বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আবাস যোজনার উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ হতে দেখা যায় অনেক যোগ্য আবেদনকারীর নাম নেই সেই তালিকায়। সেসময় আশাহত হয়েছিলেন আজমিরা খাতুন,রোকসানা বিবিরা। শেষ পর্যন্ত উপায় না পেয়ে তাঁরা পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দোলের আগেই ধামাকা! অবশেষে বাড়ছে সরকারি DA! কত শতাংশ জানেন?
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুদীপ বেরার পরামর্শ মতো তাঁরা ফোন করেছিলেন ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইন নাম্বারে। আর তাতেই হয় মুশকিল আসন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে সমীক্ষা করে ব্লক প্রশাসন। তারপর প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ যাওয়া ৭৩ টি পরিবার ঘর পান। ইতিমধ্যে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা তাঁদের ব্যাংকে ঢুকতে শুরু করেছে।
অনেকেই টাকা পেয়ে শুরু করে দিয়েছেন বাড়ির নির্মাণ। ডিহিমণ্ডলঘাটের এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়দাবাড় গ্রামের বাসিন্দা তখন তপন গড়াই ও আজমিরা খাতুনরা জানিয়েছেন এতদিন টালি আর ট্রিপল-এর ছাউনি লাগানো ঘরেই দিন কেটেছে তাঁদের। প্রথমে আবাস যোজনা তালিকায় নাম না আসায় তারা হতাশ হয়েছিলেন। তবে এবার আবাসের (Awas Yojana) টাকা পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘দিদিই আমাদের মুশকিল আসান করে দিয়েছেন। দিদিকে অনেক ধন্যবাদ।’