বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাসরি রাজ্যের মানুষের সমস্ত অভাব অভিযোগ জানানোর জন্যই চালু করা হয়েছিল হেল্পলাইন নম্বর ‘দিদিকে বলো’। বছরের পর বছর ধরে সকলের মুশকিল আসানের কাজ করে চলেছে এই ‘দিদিকে বলো’ (Didike Bolo) নম্বর। একবার ফোন করলেই ব্যাস, নিমেষে সমাধান হয়ে যায় সমস্যা। এই বিশ্বাস নিয়েই এই দিদিকে বলো’তে ফোন করেছিলেন হিঙ্গলগঞ্জের মোট ১৪৯টি পরিবার। আর তারপরেই হাতেনাতে মিলল সুফল!
দিদিকে বলো’তে ফোন করেই মিলল ঘর
হিঙ্গলগঞ্জ ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করেই সরকারি প্রকল্প আবাস যোজনায় ঘর পেতে চলেছেন দরিদ্র সীমার নিচে থাকা রাজ্যের মোট ১৪৯টি পরিবার। অবশেষে মাথার ওপর ছাদ পেয়ে তাঁরা প্রত্যেকেই দু-হাত ভরে আশীর্বাদ করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)।
আসলে তাদেরও যে কোনোদিন মাথার ওপর ছাদ তৈরী হতে পারে তা ছিল তাদের কল্পনার বাইরে। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) একটা সিদ্ধান্তে সেই দুর্দশা দূর হওয়ায় যার পরনাই খুশি প্রতিটি পরিবার। তবে জানা যাচ্ছে এই প্রথম নয়, আগেও দরিদ্র সীমার নিচে থাকা এই পরিবারগুলো ঘর পাওয়ার জন্য বারবার প্রধান ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছিলেন।
২০১৮-১৯ সালের সেই তালিকায় নাম ওঠেনি তাঁদের। তবে এই অসহায় মানুষ গুলোকে খালি হাতে ফেরেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রথমবার ‘দিদিকে বলো’ তে ফোন করেই আবাস প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছেন তাঁরা। অবশেষে মাথার উপর ছাদ পেয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেকে।
আরও পড়ুন: জড়িয়ে নিন সোয়েটার-টুপি! শীতের সাথে ঝেঁপে বৃষ্টিও! কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার খবর
জানা যাচ্ছে, গত সপ্তাহেই এই প্রকল্পের অধীনে ঘর পেয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের স্যান্ডেল বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচটি পরিবার। তাঁরা হলেন শেফালী গাইন ,খালেক গাজী ,আব্দুল সামাদ গাজী। এই পাঁচ পরিবার সহ ঘর পেয়েছেন মোট ১৪৯টি পরিবার।
.
গ্রামের মানুষের খুশিতে খুশি স্যান্ডেল বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইকবাল আহমেদ ওরফে মুকুল-ও। এদিন প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মানুষের পাশে থাকেন। এই গ্রামের পাঁচটি পরিবার ছাড়াও হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের মোট ১৪৯ টি পরিবার দিদিকে বলোতে ফোন করে সরাসরি আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন’।