বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারত-মালদ্বীপ (Maldives) কূটনৈতিক বিতর্ক এখন তুঙ্গে। ভারতীয় (India) নাগরিকদের গণহারে মালদ্বীপ বয়কটের মাঝেই বড়সড় হুমকি বার্তা পাঠাল দ্বীপরাষ্ট্র। নাম না করেই ভারতকে নিশানা করলেন নয়া প্রেসিডেন্ট ‘চিনপন্থী’ মুইজ্জু (Mohammed Muizzu)। পাঁচ দিনের চিন (China) সফরের পর দেশে ফিরেই বড়সড় তোপ দাগলেন তিনি।
গত শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুইজ্জু বলেন, ”আমরা ছোট হতে পারি। কিন্তু সেজন্য আমাদের ধমকে চমকে দাবিয়ে রাখার লাইসেন্স পেতে দেব না কাউকে।” এই নিশানা যে ভারতের দিকেই তা আর বুঝতে বাকি থাকেনি কারোরই। আর এই সবটাই যে হচ্ছে চিনা মদতেই তাও বেশ পরিষ্কার।
ঘটনার সূত্রপাত হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর। এরপরেই মোদী এবং ভারতকে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মালদ্বীপের কিছু মন্ত্রী। রাতারাতি শুরু হয় বয়কট ট্রেন্ড। যদিও কূটনীতিকদের মতে, এই ঘটনার আজ না হলেও একদিন না একদিন হতই। এর সূত্রপাত সেদিনই হয়েছিল যেদিন মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : দীপ্সিতার মুখে রাম মন্দির! ভাষণ শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল যুবক, রামপুরহাট SFI সভায় ধুন্ধুমার
আসলে পাকিস্তানের পর চিনের নজর এখন মালদ্বীপের উপর। পাকিস্তানের অর্থনীতি ধসে পড়ার সাথে সাথেই চিন সেখান থেকে তাদের হাত তুলে নিয়েছে। সেই সাথে নজর দিয়েছে মালদ্বীপের উপর। এরপর মসনদে চীনপন্থী মুইজ্জু আসায় তা আরও সহজ হয়ে যায়। ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি নিয়েই আসনে বসেছিলেন তিনি। আর এখন মুইজ্জু চায়, মালদ্বীপ থেকে ইন্ডিয়ান আর্মি সরিয়ে দিতে। এবং ভারত এই জায়গা থেকে সরে গেলে এই সুবিধা পাবে চীন। তাই এই গোটা ঘটনায় যে বেজিং-র হাত রয়েছে সেকথা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন : I.N.D.I.A-র পদ প্রত্যাহার নীতীশের, এবার কি তবে জোটে ভাঙন?
দিন কয়েক আগেই মালদ্বীপ ইস্যুতে ভারতকে তোপ দাগে চীন। এইদিন গ্লোবাল টাইমসে লেখা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ‘বস’ হতে চাইছে ভারত। সেটা করতে গিয়েই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে ফেলছে তারা। প্রতিবেনে এই বক্তব্য যখন লেখা হয় তখন মুইজ্জু ছিলেন চিনেই। আর এবার চীন থেকে ফিরেই বড়সড় মন্তব্য করলেন মহম্মদ মুইজ্জু।