বাংলাহান্ট ডেস্ক : পরনে ছিল আকাশি রংয়ের শাড়ি। তৃণমূলের ব্যাজ লাগানো ছিল সেই শাড়িতে। গলায় তুলসির মালা। কপালে চন্দনের টিপ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় তিনি গিয়েছিলেন ছদ্মবেশে। দলীয় নেতার কাছে জানিয়েছিলেন অভিযোগ। কিন্তু তারপরেও কোনও কাজ না হওয়ায় এবার অনশনের হুমকি দিলেন ওন্দার তৃণমূলকর্মী প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী। যদিও দলীয় নেতৃত্ব এটিকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে।
প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি সমাধান না মেলে, তাহলে আমরা যতজন ক্যান্ডিডেট আছি সবাই বিডিও অফিসের সামনে অনশনে বসবো। জল পর্যন্ত গ্রহণ করব না এই অনশনে। অনশন চলাকালীন আমার মৃত্যু হলে তার জন্য দায়ী থাকবে অরূপ খাঁ, উত্তম বিট, আশিস, দে, দোলন প্রামাণিক, তাপস কালিন্দী, মানস দে, শুভঙ্কর পাল, রাজীব বারিক। এরা প্রত্যেকে অত্যাচার চালিয়েছেন। এরা দায়ী থাকবেন আমার মৃত্যুর জন্য।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দায় গত ১২ ই এপ্রিল সভা করেন। যখন তিনি সভা ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় ওই মহিলা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাত দিন কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করেছেন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় চাকরির জন্য তিনি প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সহ সভাপতি আশিস দে-কে ৯৫ হাজার টাকা দিয়েছেন।
কিন্তু পাঁচ মাস পর তার চাকরি চলে যায়। আশিস দে জানিয়ে দেন যে টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। প্রিয়াঙ্কা দাবি করেছেন বহু জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, “অভিযোগ জানিয়েছিলাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এত দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও জেনারেল সেক্রেটারির পদ কিভাবে আশিষ দে-কে দেওয়া হয়?”
আশিষ দে যদিও তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমার রাজনৈতিক অবস্থান নষ্ট করার জন্য এইসব করা হচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছি আমি। তাই বিজেপি এসব করাচ্ছে।” তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব পাশেই দাঁড়িয়েছে অভিযুক্তের। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ সম্পাদক ভবানী মোদক বলেছেন, “নাটক করছেন। রাজ্য নেতৃত্ব নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।”