বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নতুন করে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সন্ধান মেলায় রাজ্যের ৩ জেলা সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করল ওড়িশা (Odisha) সরকার। বৃহস্পতিবার রাত দশটা থেকে আগামী ৬০ ঘণ্টার জন্য এই লকডাউন চালু করল ওড়িশা সরকার। গত ৫ দিনে ওড়িশায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৯।
ওড়িশার মধ্যে বালেশ্বর, জাজপুর ও ভদ্রক জেলা আগামী ৬০ ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করল ওড়িশা সরকার। গত ৫ দিনে ২৯ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ২৮ জনই তিন জেলার বাসিন্দা এবং শুধুমাত্র একজন সুন্দরগড় জেলার অধিবাসী। ওড়িশার মুখ্যসচিব অসিত ত্রিপাঠী জানালেন, ‘এই আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যোগ রয়েছে। বর্তমানে এই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, আমরা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। এবং সেই কারণে এই তিন জেলা আগামী ৬০ ঘন্টার জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
আক্রান্ত ৩ জেলায়, ভুবনেশ্বরে এবং প্রকাশ্য স্থানে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াচ্ছে এবং জীবাণুমুক্তকরণের কাজ করছে ওড়িশা সরকার। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের (Naveen Patnaik) ইতিমধ্যেই রাজ্যের পুরপ্রধান ও পঞ্চায়েত প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে, যে সকল ব্যক্তিরা পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে থাকতে পারেন তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। তাঁদের লুকাতে যারা সাহায্য করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তবে এর মধ্যেই ১৮ জন ছাত্র-সহ ২৬ জন ভুটানবাসীকে ওড়িশা থেকে ড্রুক বিমানে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সরকার। এছাড়াও কেন্দ্র সরকার বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থাও করছেন।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বাংলায়। তাই ওড়িশা সরকার, বাংলার সাথে যোগ থাকা সকল নাগরিকদের উপর নজর দিচ্ছে। এই অবস্থায় আবার পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে দাবী করেছিল বিরোধীরা। গোপন করা হচ্ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা, এমনটাও অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র থেকে পর্যবেক্ষকদের টিম রাজ্যে আসলে, তাঁদের প্রথমদিকে সহযোগিতা করেনি বাংলার সকার।