বাংলা হান্ট ডেস্ক : পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ভালো নাম করেছে ‘বাঁকুড়ার রানি’ মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur)। প্রায় সারাটা বছরই পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে এখানে। জনমানষে বেশ ভালো নাম করেছে এই জায়গাটি। বিশেষ করে এই স্থানের জলাধারটি পর্যটকদের কাছে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। আর এবার সেটিকেই আরও দর্শকপ্রিয় করে তুলতে নয়া উদ্যোগ নিল সরকার।
আসলে মুকুটমণিপুরের জলাধার নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ বরাবরই। আর এবার আরও বেশি করে পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য পর্যটন দফতর। সূত্রের খবর, দার্জিলিং (Darjeeling) এর পর এইবার এই জলাধারের উপর একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত জুড়ে তৈরি হবে রোপওয়ে (Ropeway)। অর্থাৎ এবার মুকুটমণিপুর থেকে বনপুখুরিয়া ডিয়ার পার্ক যাওয়ার জন্য রোপওয়ের সাহায্য নিতে পারবে মানুষ।
উল্লেখ্য, এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ বরাবরের। আর এখানে যদি সত্যি সত্যিই রোপওয়ে চালু হয় তাহলে তা যে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য। সেই সাথে বারোঘুটু পাহাড়ে রকক্লাইম্বিং, জলাধারে ওয়াটার রাইড, বোটিং ও সুইমিংসহ আরও বিভিন্ন স্পোর্টসের ব্যবস্থা হলে তা যে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন : DA নিয়ে বাড়ছে চাপ! এই মাস থেকেই মিলতে পারে মহার্ঘ্য ভাতা? বছর শেষে আশার আলো দেখছে কর্মীরা
যদিও সরকারি ছাড়পত্র এখনও মেলেনি তবে ইতিমধ্যেই কাজে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী ও পর্যটন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই প্রস্তাব অনেকদিন ধরেই উঠছে। আমার কাছেও বহু পর্যটনপ্রেমী মানুষজন রোপওয়ে তৈরির জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবকে বাস্তব রূপ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পর্যটন দফতরকে ডিপিআর তৈরির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এই রোপওয়ে তৈরির আর্থিক বরাদ্দ কী ভাবে আসবে, তা ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলব।’
আরও পড়ুন : এবার থেকে পড়ুয়াদের দিতে হবে ২ বার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা! নতুন নিয়মের পথে সংসদ, জানুন বিশদে
সেই সাথে তিনি আরও জানান, ‘মুকুটমণিপুরে রোপওয়ে তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি, জঙ্গলমহলের ঝিলিমিলিকেও ঢেলে সাজানো হবে। এছাড়া বাঁকুড়ার জয়রামবাটি, জয়পুর জঙ্গল, বিষ্ণুপুর, মুকুটমণিপুর এবং শুশুনিয়া, বিহারীনাথ পাহাড় থেকে গাঙদুয়া জলাধার, কোড়ো পাহাড় এই সব মিলিয়ে জেলার মূল পর্যটনকেন্দ্রগুলির উন্নতির জন্য কী করা যায় তা খতিয়ে দেখবে পর্যটন দফতর।’