DRDO এর পর এবার CSIR ও CSIO করোনা মোকাবিলার জন্য আবিষ্কার করল দুর্দান্ত প্রযুক্তি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (COVID-19) সমগ্র বিশ্বে গ্রাস করে নিয়েছে। এই সময় ভারতের (India) বিভিন্ন সংস্থা যুদ্ধ স্তরে কাজ করে চলেছে। নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রকম সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ। করোনার বিরুদ্ধে যারা প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে তাঁদের যাতে কোন অসুবিধা না হয়, সেই জন্য এই সংস্থা গুলো দিন রাত পরিশ্রম করে চলেছে। DRDO-এর তরফ থেকে সেই কারণে দেশের সবথেকে বড়ো হাসপাতাল AIMS -এ পার্সোনাল স্যানেটাইজারের ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। এই ইউনিটে একটি চেম্বার বানানো হয়েছে যেখানে মানুষ প্রবেশ করলে, সে পুরো স্যানেটাইজ হয়ে বাইরে বেরোবে।

aims 2222222222 1

হাসপাতালের কোন কর্মী হোক বা অন্য কোন ব্যক্তি যেই ওই চেম্বারের মধ্যে প্রবেশ করবে, তাঁর উপর স্যানেটাইজার ছড়িয়ে পড়বে। পাইপের মাধ্যমে স্যানেটাইজার বেরিয়ে এসে চেম্বারের মধ্যে থাকা ব্যক্তির উপর পড়বে। যার ফলে ব্যক্তির সমগ্র শরীর জীবাণু মুক্ত হয়ে যাবে।

aims 33333333333

এছাড়াও DRDO ইউপ্রো কোম্পানির সঙ্গে মিলিতভাবে ডাক্রাত এবং নার্সদের জন্য ফুল ফেসশিল্ডও তৈরি করেছে। এর আগে DRDO ডাক্তারদের জন্য ফুলবডি স্যুটও বানিয়েছিল। করোনা ভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে তাঁর স্বাভাবিক ছন্দের পতন ঘটাতে বাধ্য করেছে। এখন সমগ্র দেশ একত্রিত হয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

jal

 

অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে পাঞ্জাবে ‘ফুট অপারেটেড ট্যাঙ্ক’ অর্থাৎ পায়ের মাধ্যেম চালু হওয়া কল চালু করল। এই কলটি CSIR এবং CSIO -এর টেকনিক সহাওতার মাধ্যমে বানানো হয়েছে। বর্তমানে এই আধুনিক ধরণের কল পাঞ্জাবের হাসপাতালে লাগানো হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই তা পাঞ্জাবের রেলওয়ে ষ্টেশনে বসানোর কথা বার্তা চলছে। এই কল থেকে না ছুঁয়েই জল পাওয়া যাবে। যেহেতু স্পর্শের মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে তাই এই কল আবিষ্কার করা হয়েছে। নিচে পায়ের কাছাকাছি একটি হাতল রাখা আছে, যেটাতে চাপ দিলেই উপরের কল থেকে জল পড়বে। আবার হাতল ছেড়ে দিলে জল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ এখানে হাতের কোন ব্যবহার হচ্ছে না। এইভাবে স্পর্শ ছাড়াই জল ব্যবহার করা যাবে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর