বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের যুব সমাজ অনেক আগেই কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এবার দলের যুব নেতারাও একে একে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। প্রথমে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, তারপর জিতিন প্রসাদ। আর এখন সচিন পাইলটের (Sachin Pilot) আবারও দল ছাড়ার গুঞ্জন ছড়াচ্ছে তীব্র গতিতে। সচিন পাইলট নিজের আবাসেই আটজন বিধায়ককে নিয়ে আলাদা করে বৈঠকে বসেছেন। যদিও এই বৈঠক কেন ডাকা হয়েছে সেটা জানা যায়নি। কিন্তু সুত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট আবারও রাজস্থানের (Rajasthan) মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) উপর চটেছেন। এমনকি দলের হাইকমান্ডের উপরেও ক্ষুব্ধ তিনি।
পাইলটের বয়ানে রাজ্যে ফের রাজনৈতিক অস্থিরতা
উল্লেখ্য, রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার পিছনের প্রধান কারণ হল সচিন পাইলটের একটি বয়ান। রাজস্থান বিধানসভার উপদলনেতা তথা বিজেপির প্রবীণ নেতা রাজেন্দ্র রাঠৌর কংগ্রেসে বেড়ে চলা অশান্তি নিয়ে একটি টুইট করে সচিন পাইলট আর কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি টুইটে লিখেছিলেন, ‘অবশেষে মনের দুঃখ মুখে চলেই এল। এই ফুলকি কখন বড়সড় বিস্ফোরণের আকার নেবে সেটা সময় বলে দেবে। কংগ্রেসকে ক্ষমতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৎকালীন রাজ্য সভাপতি সচিন পাইলট বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। সমঝোতা কমিটির কাছে থাকা সমাস্যাগুলি এখনও নিষ্পত্তিহীন। জানি না কখন কী হবে।”
নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচিন পাইলট।
সচিন পাইলট ১০ মাস আগে তোলা ইস্যু নিয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি দ্বারা এখনও কোনও কাজ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাসজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নেতৃত্বাধীন সরকারে মন্ত্রীমণ্ডলে রদবদল না হওয়ার কারণে পাইলটের সমর্থনে থাকা অনেক বিধায়কই ক্ষুব্ধ রয়েছেন। কিছুদিন আগে পাইলটের সমর্থক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী হেমারাম চৌধুরী সরকারের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেন। এছাড়াও পাইলটের সমর্থনকারী অনেক বিধায়ক এবং নেতা সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।
হাইকম্যান্ডের উপরেও ক্ষুব্ধ সচিন পাইলট
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক আর সচিন পাইলটের মধ্যে চলা মনোমালিন্যের খবর প্রায় দিনই চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কিছুদিন ধরে রাজস্থানে পাইলট সমর্থক আর গেহলট সমর্থকদের মধ্যে অন্যরকম রাজনীতি চলছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দলের সমন্বয় সমিতির বৈঠক না হওয়ার কারণে পাইলট মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের উপরে ক্ষুব্ধ। ১০ মাস আগে পাইলট যা বলেছিলেন, এখনও সেই একই অভিযোগ করছেন। তিনি জানাচ্ছেন, দলে তাঁর কথায় কেউ গুরুত্ব দেয়না। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডও ওনাকে নজরান্দাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই কারণে পাইলট গ্যাং এখন নিজেদের অসহায় মনে করছে। প্রসঙ্গত, আগামীকাল ১১ জুন সচিন পাইলটের বাবা রাজেশ পাইলটের মৃত্যু বার্ষিকী। আর গত বছর ঠিক এই দিন থেকেই রাজস্থান কংগ্রেসের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল।