বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার থেকেই আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ অনশনের দ্বিতীয় দিন। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে এগিয়ে এলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) পাশে দাঁড়িয়ে রিলে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
জুনিয়রদের (Junior Doctors) পাশে সিনিয়র ডাক্তাররা
এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের ডোরিনা ক্রসিংয়ের ধর্নাস্থলে যান সিনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রিলে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা (Senior Doctors)। তবে একই মঞ্চে অনশনের ক্ষেত্রে পুলিশ অনুমতি দেবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিকল্প জায়গা ভাবতে হবে সিনিয়র চিকিৎসকদের।
কবে থেকে কতজন সিনিয়র চিকিৎসক অনশনে বসবেন তা রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের পর সিনিয়র চিকিৎসকরাও এবার অনশনের (Hunger Strike) সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘মেয়েরাই পারবে’! ফেক ভিডিও ধরলে পুরস্কার থেকে চাকরি! মহিলাদের জন্য বড় ঘোষণা মমতার
আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দশ দফা দাবি সামনে রেখে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা, এসএসকেএম হাসপাতালের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য গতকাল থেকে অনশনে বসেছেন।
৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চারতলার সেমিনার রুম থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই প্রতিবাদে সরব জুনিয়র চিকিৎসকরা। ধর্ষণ খুনের এই ঘটনার পর টানা ৪২ দিন কর্মবিরতিতে ছিলেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর কয়েকদিন আগেই জরুরি পরিষেবায় যোগদান করেছিলেন। তবে সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের হামলার ঘটনার পর ফের পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে।
শুক্রবার ধর্নামঞ্চ থেকে কার্যত ঘড়ি ধরে রাজ্য সরকারকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হতেই আমরণ অনশন শুরু করে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দশ দফা দাবি আদায়ে অনশনে বসেছেন তাঁরা। এই অনশনের স্বচ্ছতা নিয়ে যাতে কোনও রকম প্রশ্ন না ওঠে সেই কারণে অনশন মঞ্চে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।