বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের মধ্যেই ভাঙ্গা গড়ার খেলায় মেতেছে বঙ্গ (West bengal) রাজনীতি। কখনও দেখা গিয়েছে তৃণমূল (All India Trinamool Congress) ছেড়ে বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party) যোগ দিয়েছেন বিরাট সংখ্যক সদস্য, তো আবার কখনও গেরুয়া শিবিরকে ল্যাং মেরে শাসক দলে দলে যোগ দিয়েছে বঙ্গবাসী। তবে এবার ভার্চুয়াল র্যালির জোরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল শুভেন্দুরগড়ে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ
কাথির বিধায়ক সমরেশ দাশের সঙ্গী হয়েই তার সকল ছায়াসঙ্গীরা তৃণমূল ছেড়ে মিলিতভাবে যোগ দিলেন বিজেপিতে। কাজে লাগছে শাহ ম্যাজিক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির চাণক্য অমিত শাহের (Amit Shah) বাংলায় ভার্চুয়াল বৈঠকের পর থেকেই বড় বদল ঘটতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরে। বিরোধী দল ত্যাগ করে দলে দলে সদস্যরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপি বাহিনীতে। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ যুব মোর্চার সভাপতি হওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই এই বিরাট সাফল্যে আনন্দিত বিজেপি বাহিনী।
এদিন বিজেপীর যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-এর হাত ধরে কাথির বিধায়ক সমরেশ দাশের বুথ থেকেই তার সঙ্গী হয়ে অনলাইনেই বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রায় ২০০ জন। অবজারভার প্রীতম দত্ত এবং জোনাল অবজারভার জয় চৌধুরীও সাক্ষী ছিলেন এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের।
পরবর্তী প্রতিক্রিয়া
শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যুক্ত হলেন আরও বিরাট সংখ্যক মানুষ। এই বিষয়ে অবজারভার প্রীতম দত্ত বাংলাহান্টকে জানালেন, ‘সৌমিত্র দা রাজ্যের যুব মোর্চার সভাপতি হওয়ার পর থেকেই যুব মোর্চায় নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। মানুষের মনে যার এতোটাই প্রভাব পড়েছে যে, ভার্চুয়াল র্যালিতেও অন্য দল থেকে শুধু তাই নয়, অন্য দলের বিধায়কের বুথ থেকে যুবকরা দলে দলে অনলাইনে বিজেপিতে যুক্ত হচ্ছেন শুভেন্দুরগড় থেকেও। এই ভার্চুয়াল র্যালির পরিকল্পনায় ছিলেন যুব মোর্চার জেনারেল সেক্রেটারি তাপস ঘোষ এবং মিঠু দাশ। সহায়তায় ছিলেন জোন ইনচার্জ জয় চৌধুরী এবং জেলার অবজারভার প্রীতম দত্ত’।