বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রভু রামের (Lord Rama) মন্দির তো নির্মিত হবে, তাহলে তাঁর পরম ভক্ত হনুমানজি (Hanuman ji) আর বাদ থাকে কেন? রামায়ণ পাঠের সাথে সাথে সকলেই রামভক্ত হনুমানের কথা জেনেছেন, কিভাবে প্রভু রামের ভক্ত হয়ে তাঁর সাথে মাতা সীতাকে উদ্ধারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ভক্ত হনুমান। প্রভু রামের একজন পরম এবং প্রধান ভক্ত হলেন হনুমান।
হনুমানজির উপর ভরসা রাখছে মানুষ
লকডাউনে গৃহিবন্দি হয়ে মানুষ গুগল কিংবা ইউটিউবে, সর্বাধিক কিন্তু হনুমানজি এবং হনুমান চল্লিশাই বেশি সার্চ করেছে, এমনটা জানিয়েছে সমীক্ষা। অর্থাৎ মানুষজন হনুমানজির উপর বেশি ভরসাই রেখছেন।
মন্দিরের সাথে নির্মিত হবে ভগবান রামের মূর্তিও
প্রায় ৫০০ বছর পর বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের ভূমি পূজন সম্পন্ন হল গত ৫ ই আগস্ট। এবার শুরু হবে মন্দির নির্মানের কাজ। আগামী সোমবার থেকেই শুরু হতে পারে এই কাজ। পূর্ণ হবে দেশবাসীর এক অপূর্ণ আশা। তবে শুধু মন্দির নয়, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার বরহাটা গ্রামে ২২১ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট ভগবান রামের এক মূর্তিও নির্মিত হবে।
নির্মিত হবে এবার হনুমানজির মূর্তিও
ভগবান রামের পর এবার ভক্ত হনুমানের পালা। হনুমানের জন্মস্থান কর্ণাটকের হাম্পিতে এবার নির্মিত হবে এক আকাশ ছোঁয়া মূর্তি। ভগবান রামের ভক্ত হওয়ায়, তাঁর মূর্তি প্রভু রামের মূর্তির থেকে ৬ মিটার ছোট করা হবে। হনুমানজির মূর্তির উচ্চতা হবে ২১৫ মিটার।
তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট হনুমান জন্মভূমিতে এই মূর্তি স্থাপন করতে চায়। সেইমত কর্ণাটক সরকারের কাছে এক চিঠিও পাঠানো হয়েছে। হাম্পির কাছে অঞ্জনাদ্রি পাহাড়ের চূড়ায় এমন একটি হনুমান মন্দির আছে, যেখানে ভক্তদের যেতে ৫৫০টি সিঁড়ি ভাঙতে হয়। এবার মূর্তি নির্মানের সাথে সাথে ওই মন্দিরে পৌঁছাতে যাতে ভক্তদের কিছুটা হলেও কষ্ট কম হয়, তার ব্যবস্থাও করা হবে।
কত খরচা হবে মন্দির নির্মানে?
হনুমানজির এই মূর্তি নির্মিত হতে সময় লাগবে প্রায় ৬ বছর। সেইসঙ্গে আরও জানা গেছে, আকাশছোঁয়া মূর্তি বানাতে খরচ হবে পাহাড় সমান। প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। খরচ হবে এই মূর্তি নির্মানে। তবে কিছুটা খরচ দেবে কর্ণাটক সরকার এবং বাকিটা নেওয়া যেতে পারে ভক্তদের থেকে।