বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ শিরোধার্য করে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের বনদপ্তর। বুধবার আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে বনদপ্তরকে একহাত নিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা জানতে পেরে প্রকাশ্যে বনদপ্তরকে তুলোধোনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসাথে নির্দেশ দিয়েছিলেন বনাঞ্চলে প্রবেশ করলে পর্যটকদের কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্দেশে বনাঞ্চলের প্রবেশমূল্য প্রত্যাহার করল বনদপ্তর
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্দেশ পাওয়ার ৪৮ ঘন্টা পেরোনোর আগেই সমস্ত বনাঞ্চলের প্রবেশ মূল্য প্রত্যাহার করল বনদপ্তর। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন ডিএফওরা। এই শীতের মরশুমে প্রবেশমূল্য প্রত্যাহার করার খবর মিলতেই উচ্ছসিত পর্যটকরা। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘জঙ্গল সাধারণ মানুষের অধিকার।’ তাই তিনি বনদপ্তরকে প্রশ্ন করেছিলেন, বনাঞ্চলে প্রবেশ করতে গেলে আমজনতাকে টাকা দিতে হবে কেন?
বুধবার আলিপুরদুয়ারের সভা থেকেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান নির্দেশ দিয়েছিলেন,অবিলম্বে যেন এই প্রবেশ মূল্য প্রত্যাহার করা হয়। সাধারণ মানুষ যেন বিনামূল্যে জঙ্গলের অভিজ্ঞতা পান। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্দেশ পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই বনাঞ্চলে প্রবেশমূল্য প্রত্যাহার করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বক্সায় দেখা গিয়েছে প্রবেশ মূল্য প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি নোটিস। তবে প্রথমে ওই নোটিস দেখে মনে করা হয়েছিল ২৩ জানুয়ারি হওয়ায় ঐদিন সম্ভবত বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে বিষয়টা পরিষ্কার করে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আপত্তি নয়! নিঃশব্দে কেন্দ্রের প্রস্তাব মেনে নিল রাজ্য, নেপথ্য কারণ কি?
এতদিন পর্যন্ত এই বক্সা বাঘ বনে ঢুকতে গেলে পর্যটকদের প্রতিদিনের জন্য মাথাপিছু খরচ হতো ১৫০ টাকা। এছাড়া প্রত্যেক গাড়ির জন্য বন কর্তৃপক্ষ ধার্য করতো ৪৮০ টাকা করে। বুধবার পর্যটকদের কাছ থেকে এই টাকা নেওয়ার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরে অভিযোগ করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।
তারপরে ওই সভা থেকেই বনদপ্তরকে একহাত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে এই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য বক্সা বাঘ বনের একাধিক বনকর্তাকে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।