বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে পুজোর আগে বাড়ি ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এরপর থেকেই শিরোনামে রয়েছে বীরভূমের রাজনৈতিক সমীকরণ। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেষ্টকে কোর কমিটির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সেদিনই দেখা গেল, কাজল শেখের দায়িত্বে থাকা নানুর বিধানসভার অধীন কঙ্কালীতলা উৎসব কমিটির অনুষ্ঠানে রয়েছেন অনুব্রত। এদিকে সেখানে ডাকাই হল না কাজলকে!
মমতার নির্দেশ প্রসঙ্গ এড়ালেন কেষ্ট (Anubrata Mondal)!
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, গতকাল বীরভূমের জেলা কোর কমিটির একজন সদস্যকে ফোন করেছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। ওই ফোনেই কেষ্টর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কোর কমিটির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার বার্তা দেন বলে খবর। কিন্তু তারপরেই দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র! ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
বীরভূমের কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত নানুর বিধানসভার অধীন। সেখানে তৃণমূলের (Trinamool Congress) সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে কাজল শেখের কাঁধে। খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু গতকাল দেখা গেল, সেই কঙ্কালীতলা উৎসব কমিটির অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ করা হয়নি কাজলকে! অথচ মঞ্চে রয়েছেন কোর কমিটির দুই সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরী, সুদীপ্ত ঘোষ, নলহাটির বিধায়ক রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং, হাসনের বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, কেষ্ট ঘনিষ্ঠ নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুনঃ নভেম্বরে বাড়তি ছুটি ঘোষণা রাজ্যের! কারা কারা পাবেন? নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি অর্থ দফতরের
এই নিয়ে কাজল শেখ বলেন, খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই কোর কমিটি তৈরি করেছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। তবে শেষ মিটিং হয়েছে গত ২৪ আগস্ট। কোর কমিটির সঙ্গে আলোচনা না করেই অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বিজয় সম্মেলনী শুরু করেছেন। কোর কমিটিকে জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেন এই তৃণমূল নেতা। একইসঙ্গে জানান, মিটিংয়ের বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে তিনি বলেছেন।
এই প্রসঙ্গে বিকাশ বলেন, কালীপুজো মিটলে কোর কমিটির মিটিং ডাকা হবে। অন্যদিকে কোর কমিটির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে চলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান অনুব্রত (Anubrata Mondal)। বলেন, যা বলার কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বলবেন।