বাংলাহান্ট ডেস্ক : তাঁদের বিয়ে হয় বেশ জাঁকজমক করেই। পরিবারের সকলের মতেই হয় শুভ পরিণয়। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের হই-হুল্লোড়, রকমারি খাবারের আয়োজন কোনও কিছুরই কমতি ছিল ছিলনা। বিয়েটা মিটেও ছিল ঠিকঠাক ভাবেই। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় তার পরেই। বিয়ের কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই স্ত্রী লক্ষ্য করেন, স্বামীর যৌনমিলনের প্রতি কোনও আগ্রহই নেই।
বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে যায় এ ভাবেই। এর পর স্ত্রী বুঝতে পারলেন তাঁর স্বামী আসলে নপুংসক। শ্বশুরবাড়ির লোকজন সব জেনেই ঠকিয়েছেন তাঁকে। বিয়ের নাম করে মোটা টাকা পণ হাতানোই ছিল তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। এর পরই পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে।
ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দায়ের করেছে এফআইআরও। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে মহিলার স্বামী। বিশেষ সূত্রে খবর প্রতারণার মামলায় যুক্ত থাকায় আরও সাত জনকে করা হয়েছে। এই ঘটনায় শাহজাহানপুরের পুলিশ সুপার সঞ্জীব বাজপেয়ী সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানান, পুনায়ান থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা। তাঁর সঙ্গে শাহজাহানপুরের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। বিয়ের পরই ওই মহিলা জানতে পারেন, তাঁর স্বামী যৌনসঙ্গমে সম্পুর্ণ অক্ষম। এ কথা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের জানালে ওই মহিলাকে শারীরিক ভাবেও নির্যাতন করা হয়। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিয়ের সময় মহিলার পরিবারের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ পণ নিয়েছিলেন মহিলার শ্বশুরবাড়ির পরিবার। নগদ ছাড়াও বিয়েতে নিয়েছিলেন আরও অনেক যৌতুক। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা