বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর থেকে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) জেলবন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তারপর থেকে পেরিয়ে গিয়েছে বহুমাস। বাংলার সীমানা পেরিয়ে বর্তমানে তার ঠিকানা দিল্লির তিহাড় (Tihar)। তবে এতকিছুর পরও কিন্তু সভাপতির পদ রয়েছে তারই। পাশাপাশি মমতা থেকে শুরু করে অভিষেক, ফিরহাদ সকলের মুখেই এই সময়ে একাধিকবার উঠে এসেছে কেষ্ট প্রসঙ্গ।
আর দল যে তার পাশে আছে, তা সরেজমিনে বোঝাতে এবং অসুস্থ কেষ্টর খোঁজ নিতে গতকাল দিল্লি পৌঁছে যান দুই তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen) এবং বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল। মনে করা হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এই প্রথম দলীয় প্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে জেলবন্দি তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা করতে তিহাড় গেলেন।
ঠিক কেমন আছে কেষ্ট? নেতার সাথে সাক্ষাতের পর এই বিষয়ে দোলা জানান, ‘অনুব্রত মণ্ডল সর্বক্ষণের রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিন ধরে উনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দল আমাদের পাঠিয়েছে। আমরা যে গিয়েছি, এটাই একটা বার্তা। কেষ্টদার পাশাপাশি দল ওর মেয়েকেও বার্তা দিতে চেয়েছে। সেই কারণে আমরা গিয়েছিলাম।’
দোলা বলেন, ‘কেষ্টা জানিয়েছেন, উনি ঠিক আছেন। উনি সর্বক্ষণের রাজনীতিবিদ, নিজের শরীর খারাপ থাকলেও উনি সেটা আমাদের বলবেন না। দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ঠিক আছেন কি না, উনি জানতে চেয়েছেন। আমাদেরও খোঁজ খবর নিয়েছেন। সুকন্যার সঙ্গেও আমাদের দেখা হয়েছে। উনিও কোনও সমস্যার কথা বলেননি। আমরা গিয়েছি বলে সুকন্যা হয়েছেন। আমার খারাপ লাগা ছিল, গিয়ে ওঁদের অবস্থা দেখে আরও খারাপ লেগেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেষ্টদা হিন্দি বলতে ওতটা সড়গড় নন। উনি অভিযুক্ত, সাজা প্রাপ্ত নন। বাংলা থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হল, তাতে উনি ওর আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন না। নিজের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার অধিকারও নেই।”
প্রসঙ্গত, তিহাড়েই বন্দি রয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তার সাথেও এদিন দেখা করেন সাংসদরা। দোলা বলেন, “কোনওদিনেও আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে?”