বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনেকদিন ধরেই দেউচা পাচামির প্রস্তাবিত কয়লা খনি প্রকল্পের জমিদাতা পরিবারগুলি নিয়োগপত্র পাচ্ছিলেন না। তবে দিন কয়েক আগেই দেউচা পাচামির জমিদাতারা বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বোলপুরের তৃণমূল ভবনে অনুব্রতর কাছই তারা নিজেদের সুবিধা, অসুবিধার কথা জানিয়ে দরবার করেছিলেন।
অনুব্রত (Anubrata Mandal) ফিরতেই গতি বাড়ল বীরভূমের এই প্রকল্পে
আর ঠিক কয়েক দিনের মাথায় শুক্রবারই প্রস্তাবিত কয়লা খনি প্রকল্পের জমিদাতাদের মধ্যে মনোনীত ২৮ জন প্রার্থীর হাতে রাজ্য়ে সরকারের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে নিয়োগপত্র। জানা যাচ্ছে, জমি দানের ক্ষতিপূরণের একটি অংশ হিসাবে এই নিয়োগপত্র পেলেন তাঁরা। তবে লক্ষণীয় বিষয় এই যে এই নিয়োগপত্র পাওয়ার দিন কয়েক আগেই দেউচা পাচামির জমিদাতারা বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তাই বিষয়টিকে নেহাত কাকতালীয় বলে মানতে নারাজ অনেকেই। এপ্রসঙ্গে, অনেকের অভিযোগ গত একবছর ধরে অত্য়ন্ত ধীর গতিতে এই প্রকল্পের কাজ চলছিল। অথচ জমিদাতারা অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mandal) সাথে দেখা করার পর এত তাড়াতাড়ি তারা নিয়োগপত্র পেলেন কিভাবে? অন্যদিকে অনুব্রত সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বীরভূমে থাকাকালীন তিনি ১,৫০০ জনের চাকরির ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপর নাকি আর কোনও জমিদাতাই নিয়োগপত্র পাননি।
সেসময় অনুব্রত জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন। আর এই ঘটনার ঠিক দু’দিন পরই দেউচা পাচামির ২৮ জন জমিদাতার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন জেলাশাসক। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি অনুব্রত ফিরতেই বীরভূমে এই প্রকল্পে গতি বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার? নাকি এটা শুধুই কাকতালীয় ঘটনা মাত্র? এছাড়া যেসমস্ত, জমিদাতারা, এত দিন নিয়োগপত্র পাচ্ছিলেন না, তাঁরা কী করে অনুব্রতর সাথে দেখা করে মাত্র দু’দিনের মধ্যেই নিয়োগপত্র পেয়ে গেলেন?
আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলেই ইংরেজিতে পড়াশোনা! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক সিদ্ধান্তে বিরাট সুযোগ
যদিও সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে প্রশাসনের দাবি, যা কিছু হয়েছে, সবটাই সাধারণ এবং সরকারি নিয়ম মেনে। এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে জেলাশাসক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক প্য়াকেজের আওতায় জমিদাতাদের এইসব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। জানা যাচ্ছে এই প্যাকেজের আওতায় প্রত্যেক বিঘা জমির ক্ষতিপূরণ হিসাবে পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি এককালীন ১৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে মোট ১৬টি পর্যায়ে চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে মোট ১,৬২৪টি নাম রয়েছে। এই প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে সরকারি অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ায় ১৩তম পর্যায়ের অধীনে এখনও পর্যন্ত ২৮ জনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাঁদের নামে আসা নিয়োগপত্রই শুক্রবার সেই প্রার্থীদের হাতে তুলে দেন জেলাশাসক। তবে জানা যাচ্ছে, বাকিদের মঞ্জুর হলে তাঁদের নামেও নিয়োগপত্র আসবে।