যেই যেই কেন্দ্রে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, সেগুলির মধ্যে বেশীরভাগই হেরেছে বিজেপি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টার্গেট ছিল বাংলার (west bengal) মসনদ। লড়াইটা ছিল একদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বনাম অন্যদিকে বিজেপির তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) এবং অমিত শাহের। বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে টানা ১৮ টা সভা করেও কাজে দিল না মোদী ম্যাজিক। ডাহা ফেল করল বিজেপি শিবির।

ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে, তৃণমূলের কাছে গো হারা হেরে গেল গেরুয়া শিবির। মুখ থুবড়ে পড়ল মোদী- শাহ ম্যাজিক। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহই নয়, বাংলা দখলের লড়াইয়ে বিজেপির হয়ে প্রচারের মাঠে অংশ নিয়েছলেন স্মৃতি ইরানি, জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিং, যোগী আদিত্যনাথ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রা। কিন্তু ২ রা মে’র ফলাফল প্রমাণ করল- ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’।

view what narendra modi should not do if he gets a second term 2

যেসকল এলাকায় খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজেই সভা করেছিলেন, সেসব কিছু এলাকাতেও বিরাট ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল শিবির। প্রধানমন্ত্রী প্রথম জনসভা করেছিলেন ৭ ই ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায়। সেখানে ১ লক্ষ ৩ হাজার ৪৮৯ ভোটে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী তাপসী মণ্ডল। ২৪ শে মার্চ পরবর্তী সভা কাঁথিতে করেও কোন প্রভাব পড়েনি ভোট বাক্সে। তবে নন্দীগ্রামে জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।

এইভাবে রাজনীতিতে প্রথম নাম লিখিয়েই জয়ের মুখ দেখেন খড়গপুরের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরের সভায় কিছুটা প্রভাব পড়ায় উত্তরে জয়ী মুকুল রায়। অন্যদিকে কল্যাণী এবং আসানসোল দক্ষিণে মুখ রেখেছেন অম্বিকা রায় এবং অগ্নিমিত্রা পাল। অন্যদিকে কোচবিহার উত্তর এবং দার্জিলিং-র মানুষও ভরসা করেছে বিজেপির উপর।

1616210523 modi anandabazar

পাশাপাশি বারাসাতে বিরাট জনসমাগমের সঙ্গে জনসভা করেও ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। মোদী ম্যাজিক কাজে দেয়নি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুর, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ, হাওড়ার উলুবেড়িয়া এবং ডুমুরজোলাতেও। ২২ শে ফেব্রুয়ারি লকেটের হয়ে সভা করলেও, ১৮ হাজার ভোটে হেরে যান বিজেপি প্রার্থী। ব্রিগেডের মাঠে গেরুয়া ঝড় তুললেও, কলকাতার মাটিতে কোন প্রভাবই ফেলতে পারেনি বিজেপি শিবির।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর