বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের (Pakistan) পর এবার বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের (Hindu) উপর হামলা। সংখ্যাগুরু হামলাকারীরা ধার্মিক সংখ্যালঘু কয়েকটি হিন্দুদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁদের মারধর করে এবং লুটপাট চালায়। এছাড়াও তাঁরা চারটি হিন্দু মন্দিরে হামলা করে এবং প্রতিমা ভাঙচুর করে। এই ঘটনা বাংলাদেশের খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার শিয়ালি গ্রামে ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, তাঁরা এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে কাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা জানায়নি পুলিশ।
৭ আগস্ট বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা রুপসা উপজেলায় হিন্দুদের বাড়ি, দোকান আর মন্দিরে হামলা চালায়। কট্টরপন্থীরা মন্দিরে থাকা দেব-দেবীর মূর্তি ভাঙচুর করে এবং হিন্দুদের বাড়িতে লুটপাট চালায়। পুলিশের মতে দুই পক্ষের বাদানুবাদের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও পুলিশ এটিকে বাদানুবাদের বদলে ভুল বোঝাবুঝি বলে আখ্যা দিয়েছে।
এই হামলায় ৩০ এর বেশি হিন্দু আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। পুলিশের মতে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আর এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় অশান্তি রুখতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা প্রথমে শিয়ালি মন্দিরে তাণ্ডব চালায়। এরপর তাঁরা একে একে মন্দির আর হিন্দুদের বাড়িতে হামলা করে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার রাত প্রায় ৯টা নাগাদ হিন্দুরা পূর্বপাড়া মন্দির থেকে শিয়ালি শ্মশান পর্যন্ত কীর্তন করতে করতে যাচ্ছিল। সেই রাস্তায় একটি মসজিদ ছিল। সেই সময় এলাকার সংখ্যাগুরুরা সেই কীর্তনের বিরোধিতা করে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয় আর তাঁর থেকেই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বেশকিছু হিন্দুদের ঘরবাড়ি এবং মন্দিরে হামলা করে কট্টরপন্থীরা।