বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন যাবৎ জমি বিতর্কে ( Plot Controversy) উত্তাল ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উত্তরবঙ্গের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে স্থাপিত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (North Bengal University)। সেই জমি নিয়েই সূত্রপাত জটলার। বিতর্কের শুরু দীর্ঘদিন আগে। তার সমাপ্তি ঘটল আজ। তবে কী নিয়ে এই বিতর্ক! মূলে রয়েছে অন্যায়ভাবে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ।
ঠিক কী অভিযোগ ছিল? বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে শুরু করে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা, সকলেরই অভিযোগ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশের জমি বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যাচ্ছে। আর তার পেছনে রয়েছে সক্রিয় রয়েছে একটি চক্র। অভিযোগ, মোট ৫ একর জমি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে । যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। তার বদলে সেখানে পাঁচতারা হোটেল করার কৌশল করা হচ্ছে বলেও জানান অভিযোগকারীরা।
এনিয়ে বহুদিন বহু বিক্ষোভ, আন্দোলনে সামিল হন তাঁরা। তবে মেলেনি কোনো সুরাহা। অবশেষে আজ শিলিগুড়ি পৌঁছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “এই পাঁচ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন থেকে অধিগ্রহণ করা হচ্ছে না। যে প্রতিষ্ঠান এখানে গড়ে তোলার কথা ছিল তা অন্যত্র গড়ে তোলা হবে।” পাশাপাশি তিঁনি জানান “উত্তরবঙ্গের জমি নেওয়া হচ্ছে না। পর্যটন দফতর অন্য কোথাও জমি নেবে। সরকার খতিয়ে দেখছে অন্য কোথায় এই প্রজেক্টটি তৈরি করা যেতে পারে।”
অন্যদিকে, এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পৌঁছানোর আগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করেন ‘উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও’ কমিটির সদস্যরা। তাঁদের দাবি ছিল কোনোভাবেই যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া না হয় সেই বিষয়ে নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি। এই দাবিতেই এদিন সেই বিক্ষোভ পৌঁছে যায় হাতাহাতি পর্যন্ত। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগও ওঠে। যা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় পুলিশ বাহিনী। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানান, তাঁর এই পিছু হঠার সিদ্ধান্তের সাথে কোনোভাবেই আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।