বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরজি করের (RG Kar Case) তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন সকলেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের তারকারা। এরই মধ্যে অভিযোগ আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করায় প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এক অভিনেত্রীকে।
আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদ করায় অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি
ওই অভিনেত্রীর অভিযোগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তাঁকে রীতিমতো শাসানো হচ্ছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার ধর্ষণের হুমকিও দেয়া হয়েছে অভিনেত্রীকে। এছাড়াও রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে তিনি বলেছেন সাইবার ক্রাইম থানায় বারবার ইমেইল করে অভিযোগ জানানোর পরেও কোন লাভ হয়নি।
গত ৯ আগস্ট আরজিকরের (RG Kar Case) সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তিলোত্তমার ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত দেহ। তাঁর সেই নৃশংস ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। সেই থেকেই আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন ওই অভিনেত্রী ।
কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রমাগত ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি দিনক্ষণ উল্লেখ করে অভিনেত্রীর বাড়ি গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলে যোগ দিয়েছি। স্লোগান দিয়েছি। তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সেলে ইমেল পাঠিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। তবে সাইবার ক্রাইমের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আমার আইনজীবী বলেছেন, আরও একবার সাইবার সেলে অভিযোগ জানাতে।’
আরও পড়ুন : ডালহৌসির পর চলছে না নিউটনের হোটেল! পুজোর মুখে এ কি হাল নন্দিনী দিদির?
তাই শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না পেয়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খোলা চিঠি লিখেছেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি জানিয়েছেন,’বিগত ৪৮দিন আগে একটি সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারের খুন ও ধর্ষনের বিচারের দাবিতে আমিও বাকি নাগরিকদের মতো সরব ছিলাম । এখনো আছি । সুবিচার না পাওয়া অবধি আগামী দিনেও থাকবো।’
এরপরেই ওই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘কিছু শুভানুধ্যায়ী ( তারা বারবার লিখছে প্রতিবাদ কেনো করছিস , দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ কেনো খুলছিস সাথে কিছু অশ্রাব্য গালি) আমার এই গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের কন্ঠ রোধ করতে বারবার চরম অশ্লীল বাক্য এবং মিথ্যে অপরাধে ফাঁসানোর হুমকি যাচ্ছে লাগাতার। এই সব কিছুর প্রমাণ নিয়ে কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং সাইবার ক্রাইমে জানানোর পরেও তারা উপেক্ষা করে গেছে।এই ধরনের ভাড়া করা সস্তা ট্রোলারদের আমি অগ্রাহ্য করি কিন্তু পুলিশের নিস্পৃহতা এদের উৎসাহিত করছে এটা বিশ্বাস করতে যে পুলিশ এখন অপরাধের পৃষ্ঠপোষক। তাই এরা সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি লিখছে পুলিশ কিছু করবে না !! তাই নিশ্চিন্তে আমায় লিখছে বাড়ি ঢুকে ধর্ষণ করবে।’