বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পদুচেরিতে ভেঙে পড়ল কংগ্রেসের সরকার। সোমবার আস্থা ভোটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। এরপর রাজ্যের উপরাজ্যপালের সংরে সাক্ষাৎ করে ইস্তফা দেন নারায়ণস্বামী। কংগ্রেস বিধায়ক কে. লক্ষ্মীনারায়ণ এবং দ্রমুক বিধায়ক ভেঙ্কটেশনের ইস্তফা দেওয়ার পর ৩৩ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেস-দ্রমুক জোটের বিধায়ক সংখ্যা কমে ১১ হয়ে যায়। আরেকদিকে, বিরোধী দলের কাছে এখন ১৪ জন বিধায়ক আছে।
পুদুচেরিতে পতনের পর দক্ষিণ ভারত থেকে কংগ্রেস ঝেড়ে মুছে সাফ হয়ে গেল। দুই বছর আগে কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটে হেরেছিল কংগ্রেস। আর এবার পদুচেরিতেও একই অবস্থা হল তাঁদের। এক সময় ছিল যখন দক্ষিণ ভারতকেই কংগ্রেসের গড় বলে ডাকা হত। কিন্তু ধীরে ধীরে চিত্র বদলাতে থাকে।
২০১৪ সালে বিজেপির কাছে লোকসভা নির্বাচনে হারের পর থেকেই কংগ্রেস কমজোর হতে থাকে। যদিও কয়কটি রাজ্যে কংগ্রেস সরকার আবারও ফিরে এসেছে। কিন্তু বাকি রাজ্যগুলোতে কংগ্রেসের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। এখন মাত্র ৫ টি রাজ্যেই কংগ্রেসের সরকার আছে। সেই রাজ্যগুলো হল পাঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্র আর ঝাড়খণ্ড।
মধ্যপ্রদেশে ১৫ বছর পর ক্ষমতায় ফিরেছিল কংগ্রেস। কিন্তু মাত্র ১৫ মাস শাসন করার পর সরকার পড়ে যায়। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ২৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে দেন আর শিবরাজ সিং চৌহান আবারও মুখ্যমন্ত্রী হন। কর্ণাটকে ২০১৯ এর জুলাই মাসে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ১৭ জন বিধায়ক ইস্তফা দেন। এরপর সেখানেও কংগ্রেস সরকার পড়ে যায়।