বাংলা হান্ট ডেস্ক : এখনও পর্যন্ত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর (Rituparna Sengupta) ওপর রাগ কমছে না আমজনতার। দেখতে দেখতে দু’মাস অতিক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত আরজিকরের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের বিচার অধরা। শুরু থেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের তারকারাও। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিমেষের মধ্যে দাবানলের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজের সর্বস্তরে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার ট্রোলড ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta)
সে সময় আরজিকরের চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শঙ্খ বাজিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর শঙ্খ বাজানোর মধ্যে অতি নাটকীয়তা দেখে একেবারে রে রে করে তেড়ে এসে ছিলেন আমজনতা।
অভিনেত্রীর (Rituparna Sengupta) ওপর সাধারণ মানুষের সেই রাগ যেন কিছুতেই কমছে না। সম্প্রতি পুজো উপলক্ষে একটি ফটোশুটের এক গুচ্ছ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই পোস্টের কমেন্ট সেকশনেই উপচে পড়েছে একের পর এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
অভিনেত্রীর অনুরাগীদের একাংশ তাঁর প্রশংসা করলেও এটা বড় অংশকে দেখা গেল ঋতুপর্ণার সমালোচনায় মুখর হতে। আরজিকরের প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন কেউ তাঁকে লিখেছেন ‘শঙ্খদিদি’। কেউ আবার বিদ্রুপ করে লিখেছেন, ‘বুড়ির লজ্জা নেই’। কেউ আবার ট্রোল করে লিখেছেন ‘ন্যাকামো…আনলিমিটেড’।
আরও পড়ুন : লোকে বলছে পর্দার প্রেম গড়িয়েছে বাস্তবে! পুজোর মধ্যেই ঢাকের তালে তুলকালাম সাহেব-সুস্মিতার
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শ্যামবাজারে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও সেখানে অভিনেত্রীকে দেখেই ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। শুধু তাই নয়, এদিন শারীরিক হেনস্থা করার-ও অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী।
View this post on Instagram
ওই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, ‘আমাকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে। উলুধ্বনি এবং শাঁখ বাজিয়ে ব্যঙ্গও করা হয়েছে, তবে তাতে আমি কিছু মনে করিনি। তবে এরপর আমার গাড়িতে জুতো ছোড়া হয়। তখন আমি গাড়ির দরজা খুলে বলি, আপনারা এমন করবেন না, আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। তবে কেউ কোনও কথাই শুনলেন না। আমার মনে হয় প্রতিবাদের কথা না মনে রেখে জমায়েতে হুজুগে চলে গিয়েছিলেন। বুঝতে পারছি যে সকলেই ক্ষুব্ধ। তবে কলকাতার এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত।’