বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: জমজমাট চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। মঙ্গলবার রাতে দুটি দুরন্ত ফুটবল ম্যাচ দেখলো গোটা বিশ্ব। আর এইরকম ম্যাচ দেখার জন্যই হয়তো ফুটবলপ্রেমীরা রান জাগেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বরাবরই ফুটবলপ্রেমীদের উপহার দিয়ে এসেছে অভাবনীয় কিন্তু রূপকথার রাত। কাল রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের দুটি ম্যাচও তার ব্যতিক্রম হলো না। দুটি পর্ব মিলিয়ে ৪-৩ এগ্রিগেট স্কোরে লন্ডনের ক্লাব ও গতবারের ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী চেলসিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছালো ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। অপরদিকে অঘটন ঘটিয়ে ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন্সলিগ জয়ীদের মাত দিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছালো গতবারের ইউরোপা লিগ বিজয়ী ভিলারিয়েল।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রথম পর্বের খেলায় চেলসিকে তাদের ঘরের মাঠে ৩-১ ফলে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন বেনজেমা। চেলসিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট পেতে গেলে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে ৩-০ ফলে জিততে হতো। তারা সেইরকম প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিল। ১৫ মিনিটের মধ্যে মেসন মাউন্টের গোলে তারা এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে রেফারির দেওয়া বিতর্কিত কর্নার থেকে হেড করে ২-০ করে দেন চেলসি ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার। এরপর গোটা রিয়াল ডিফেন্সকে পরাস্ত করে তৃতীয় গোল করে এগ্রিগেটে স্কোরে রিয়ালকে টপকে যায় চেলসি।
ঠিক যখন মনে হচ্ছিল সমস্ত আশা শেষ, সেই সময় লুকা মদ্রিচের দুরন্ত ট্রিভেলা পাস থেকে গোল করে রিয়ালকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। এরপর এগ্রিগেট স্কোর ৪-৪ হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় ৩০ মিনিটের এক্সট্রা টাইমে। সেখানে প্রথম পর্বের মতোই ভিনিসিয়াসের ক্রস থেকে হেডে গোল করে এগ্রিগেট ৫-৪ করে রিয়ালকে সেমির টিকিট এনে ফ্রেঞ্চ তারকা স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। চলতি মরশুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ গোল করা হয়ে গেল তার।
অপর কোয়ার্টার ফাইনালে অঘটন ঘটিয়ে বায়ার্ন মিউনিখকে টপকে ২-১ এগ্রিগেট ফলে সেমিফাইনালে টিকিট পায় গতবারের ইউরোপা লিগ জয়ী স্প্যানিশ দল ভিলারিয়েল। প্রথম পর্বে নিজেদের মাঠে ১-০ ফলে জিতেছিল তারা। দ্বিতীয় পর্বে মিউনিখে বায়ার্নের তারকা স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডস্কি ৫২ মিনিটে গোল করে বায়ার্নকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনার পরে আশ্চর্যজনক ভাবে গোলক্ষুদায় ভোগা বায়ার্ন আর গোলের রাস্তা খুঁজে পায়নি। উল্টে ৮৮ মিনিটে গোল করে ভিলারিয়েলের সুপার সাব চুকউইজে বায়ার্ন ভক্তদের মন ভেঙে দিয়ে দলকে সেমিফাইনালের টিকিট এনে দেন।