বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আমরা জানি যে, শ্রীলঙ্কা বর্তমানে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদিকে, এই আবহেই ভারতের আরেক প্রতিবেশী দেশ নেপালেও অর্থনৈতিক দৈন্যতার চিত্র ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। জানা গিয়েছে যে, এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক একটি বড় ঘোষণা করেছে।
যানবাহন এবং যে কোনো দামি বা বিলাসবহুল জিনিসপত্র আমদানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। মূলত, নেপালে নগদের স্বল্পতার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমেছে। এই কারণে ব্যাঙ্ককে এই বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক “নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংক” (এনআরবি) এই প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এই নির্দেশ জারি করেছে।
ঘোষণাটির পর এনআরবির মুখপাত্র গুণখার ভাট জানিয়েছেন যে, “আমরা অর্থনীতিতে যে ধরনের সঙ্কটের লক্ষণ দেখছি তা মূলত আমদানি বৃদ্ধির কারণে। সেজন্য আমরা অবিলম্বে যেসব পণ্যের প্রয়োজন নেই সেগুলির আমদানি বন্ধের কথা ভাবছি।”
বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে পতন:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার মতো নেপালেরও অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। মূলত আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটন ও রপ্তানি থেকে আয়ের ঘাটতি এবং একাধিক কারণে ২০২১ সালের জুলাই থেকে নেপালে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার হ্রাস পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৭ শতাংশ কমে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯.৭৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। যা ২০২১ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি ১১.৭৫ বিলিয়ন ডলার ছিল। তবে নেপালের অর্থমন্ত্রী জনার্দন শর্মা আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, তাঁদের দেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হবে না।