হাতের ছাপ নেওয়াই সার! দেওয়া হচ্ছে না রেশন, গুরুতর অভিযোগে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিনে দিনে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জেলায় তৈরি হচ্ছে দুর্নীতির আখড়া। সরকারি প্রকল্পের আড়ালেই গজিয়ে উঠছে একের পর এক দুর্নীতির কারবারি। এমনিতেই শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, রাস্তা থেকে জল অধিকাংশ সরকারি প্রকল্পেই রাজ্যের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। তালিকায় রয়েছে রাজ্যের রেশন দুর্নীতি মামলাও।

হাতের ছাপ দিলেও, রেশন মিলছে না আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)

ইতিমধ্যেই এই রেশন দুর্নীতি কান্ডে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জেলবন্দী রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একাধিকবার খারিজ হয়ে গিয়েছে তার জামিনের আবেদন। শনিবারেই তার জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে তার বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে ইডি।

এরই মধ্যে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) থেকে রেশন দুর্নীতির মামলায় উঠেছে এক গুরুতর অভিযোগ। বলা হচ্ছে হাতের ছাপ নিলেও দেওয়া হচ্ছে না রেশন। এই অভিযোগে সরব আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি চা বাগান এলাকার বাসিন্দারা। কালচিনিতে রেশন বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আজকের নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই অভিযোগ বহুদিনের।

রেশন গ্রাহকদের অভিযোগ শনিবার তারা রেশন নিতে গেলে সেখানে তাদের হাতের ছাপ নেওয়া হলেও রেশন দেওয়া হয়নি। কবে রেশন দেওয়া হবে জানতে চাইলে বলা হয় অন্যদিন। যদিও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে সময় গ্রাহকদের হাতের ছাপ নেওয়া হবে তখনই তাদের হাতে রেশন দেওয়ার কথা। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনির রেশন দোকানে এই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ গ্রাহকদের একাংশের।

আরও পড়ুন: পরপর কলকাতার ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন! রহস্য কি? উদ্বিগ্ন মেয়র ফিরহাদ

তাদের দাবি এই প্রথম নয়,রেশন নিতে গিয়ে প্রতি মাসে তাদের এই হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। নিয়ম করে হাতের ছাপ নেওয়া হলেও তাদের সময় মত রেশন দেওয়া হচ্ছে না। কোনদিন আটা ফুরিয়ে যাচ্ছে, তো কোনদিন চাল থাকছে না। প্রতিবারের মত এই দিনও বলা হয়, তাদের রেশন অন্য দিন দেওয়া হবে।

Alipurduar

রেশন বিতরণ নিয়ে কালচিনির (Alipurduar) এই অনিয়ম প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামা। তিনি বলেছেন শ্রমিক মহল্লায় রেশন বিতরণ নিয়ে অনেক বড় দুর্নীতি চলছে। আমি এই নিয়ে বিধানসভায় সরব হব।‌’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর