বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাস খানেক আগে ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) ‘তরুণের স্বপ্ন’ (Taruner Swapna) প্রকল্পের টাকা উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে না গিয়ে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ায় জোর শোরগোল পড়ে যায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বৃত্তি তথা স্কলারশিপের টাকা নিয়ে কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসছে।
সরকারের (Government of West Bengal) দেওয়া বৃত্তির টাকা নিয়ে কেলেঙ্কারি?
রাজ্যের সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের স্কলারশিপ দেয় সরকার। এবার সেই টাকা নিয়েই কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের দেওয়া এই বৃত্তির (Scholarship) টাকা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে না এসে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন রতুয়ার বাটনা জে এম সিনিয়র মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
মাসখানেক আগে ট্যাব কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রেও সরকারের (Government of West Bengal) দেওয়া টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার বৃত্তির ক্ষেত্রেও সেই ‘ছায়া’ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে খবর। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বহু ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা শিক্ষা দফতর এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ‘নিজের ধান্দাপূরণের চেষ্টা’! সন্দীপ-অভিজিৎ জামিন পেতেই RG Kar ইস্যুতে ফুঁসে উঠলেন কুণাল
বাটনার জে এম সিনিয়র মাদ্রাসার স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তাঁরা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই অনুযায়ী প্রথম দফায় ২৪,০০০ টাকা পান। তবে দ্বিতীয় দফার টাকা আর ঢোকেনি বলে অভিযোগ। খোঁজখবর নেওয়ার পর নাকি জানা যায়, কমপক্ষে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রীর টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। যাদের অ্যাকাউন্টে এই বৃত্তির টাকা ঢুকেছে, তাঁরা কেউ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নন বলে দাবি করা হয়েছে।
ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে এহেন অভিযোগ আসায় ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া। ইতিমধ্যেই সিআইডির (CID) দ্বারস্থও হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এই বৃত্তির টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা শুরু হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে মাদ্রাসা সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, সরকারের (Government of West Bengal) দেওয়া এই বৃত্তির ফর্ম ফিল আপের দায়িত্বে যে কম্পিউটার শিক্ষক ছিলেন, সেই ইনজামামুল হকের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রছাত্রীরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে প্রথমে বিষয়টি জানান। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যে সকল ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপের টাকা পাননি, তাঁরা পেয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মাদ্রাসার টিআইসি গোলাম রসুল। এদিকে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন, আগামী শিক্ষাবর্ষেই কোর্স সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কীভাবে তাঁরা স্কলারশিপের টাকা পাবেন?