‘ভাড়া’ করা যুবকের ভরসাতেই ক্লাস চালাচ্ছেন শিক্ষিকা! অসুস্থতার দোহাই দিয়ে বাঁচাচ্ছেন চাকরিও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। কিন্তু সেই স্কুলে নেই কোন শিক্ষক। একজন শিক্ষিকা অবশ্য রয়েছেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে স্কুলে আসেননা তিনি। কিন্তু পড়ুয়াদের পড়াবেন কে? তাই শিক্ষক ‘ভাড়া’ করে নিজের চাকরি বাঁচাচ্ছেন এই শিক্ষিকা। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার শুনিয়া গ্রামের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের। এই শিক্ষাকেন্দ্রে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনার ব্যবস্থা রয়েছে।

অতসী বিশ্বাস এই স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন ২০০৭ সালে। কিন্তু তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। স্কুলে আসতে পারেননা। জানা যায়, এই স্কুলে পৌঁছাতে গেলে রাস্তা থেকে কয়েক কিমি হেঁটে আসতে হয়। এই কারণে কয়েক মাসে দু – একবার অতসীদেবী স্কুলে আসেন। কিন্তু এরকম ভাবে তো চলতে পারেনা। তাই তিনি ভাড়া করেছেন এক যুবককে। সেই যুবক অতসীদেবীর হয়ে স্কুলে পড়ান।

এই ‘ভাড়া’ করা শিক্ষকের নাম ফিরোজ মল্লিক। গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রতি মাসে এই শিক্ষককে পড়ানোর জন্য টাকা দিতে হয় অভিভাবকদের। ফিরোজ মল্লিকের দাবি, দিদিমণি অসুস্থতার জন্য স্কুলে আসতে পারেননা। তাই তিনি পড়ান। তিনি বলেছেন,” অতসী দিদিমণি অসুস্থ। রোজ স্কুলে আসতে পারেননা। আমি তাই পড়াই। সহযোগিতা করি। আমার পড়তে ও পড়াতে ভালো লাগে। এটাই আমার পেশা।”student school

এই প্রসঙ্গে অতসীদেবী বলেছেন, “খুব অসুস্থ আমি। হেঁটে রোজ স্কুলে যেতে পারিনা। এতগুলো বাচ্চাকে সামলানো কঠিন। সেই কারণেই একটি ছেলেকে রেখেছি। ও সাহায্য করে। এই স্কুলে আরও শিক্ষক নিয়োগ হোক আমি চাই।” গ্রামবাসীরা এই বিষয়টিকে মোটেই ভালোভাবে দেখছেন না। এসআইয়ের অবর্তমানে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পিনাকী ঘোষ মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, এরকম ভাবে কেউ স্কুল চালাতে পারে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখব।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর