বাংলা হান্ট ডেস্ক : এক ধাক্কায় এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যোগ্য অযোগ্য মিলিয়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি তো গেছেই সেই সাথে চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীরাও। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়বে বাংলার স্কুলগুলিতে। এক ধাক্কায় কমে যাবে শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা! তারপর থেকেই প্রশ্ন, কীভাবে চলবে পঠন পাঠন?
এইদিন এই প্রসঙ্গে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তে বাংলার স্কুলগুলিতে এক ধাক্কায় প্রায় ১৫ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষিকা কমে যাবে। সেই সাথে গ্রুপ ডি কর্মী কমবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। গ্রুপ সি কর্মী কমবে প্রায় ২৫ শতাংশ। এমন আবহে কীভাবে সমস্ত কাজ চলবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
উদ্বেগজনক গলায় তিনি বলেন, ‘স্কুল পরিচালনা করা, পঠন পাঠন ব্যবস্থা, সবটাই দেখা-বোঝা বোর্ডের দায়িত্ব। স্কুলগুলো কীভাবে চলবে, সেটা আমাদের নজর রাখতে হবে।’ উল্লেখ্য যে, গতকাল হাইকোর্টের এই ঘোষণার পর থেকেই হুলস্থুল শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যে। ইতিমধ্যেই নিজেদের যোগ্য বলে দাবি করা কিছু চাকরিপ্রার্থী বৈঠক করেছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
আরও পড়ুন : রেল যাত্রীদের জন্য সুখবর, মাত্র ২০ টাকাতেই মিলবে ভরপেট খাবার, দারুণ উদ্যোগ IRCTC-র
সেখান থেকেই খবর আসছে, হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চাইছে পর্ষদ। ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শও নিতে শুরু করেছে চাকরিপ্রার্থীরা। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীও এক সভা থেকে জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাবে। সেই সাথে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও এই একই কথা জানিয়েছিলেন।