আমের পর এবার LED বাল্ব চুরি করলেন পুলিশকর্মী! ভাইরাল ভিডিও দেখে হুঁশ উড়ল নেটিজেনদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধান! সম্প্রতি কেরালার এক পুলিশকর্মীর (Police) এক ফল দোকান থেকে আমের পেটি চুরি করার ভিডিও সামনে এসেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যেখানে পিভি শিহাব নামের এক পুলিশকর্মীকে স্পষ্টভাবে চুরি করতে দেখা যায়। এদিকে, এই ভিডিও প্রত্যক্ষ করে হুঁশ উড়ে যায় সকলেরই। পাশাপাশি, এক পুলিশকর্মীর এহেন আচরণ হাজারও প্রশ্নের উদ্রেক করে সকলের মনে। সেই রেশ যেতে না যেতেই এবার আরও একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামনে এসেছে। তবে, এবার আম নয়। বরং, LED বাল্ব চুরি করলেন উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশকর্মী।

LED বাল্ব চুরি করলেন পুলিশকর্মী: সম্প্রতি প্রয়াগরাজের এক পুলিশকর্মীর একটি ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে তাঁকে একটি LED বাল্ব চুরি করতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি বাড়িতে জ্বলতে থাকা LED বাল্বের দিকে এগিয়ে এসে আচমকাই সেটি খুলে নিয়ে পকেটে ভরে নেন ওই পুলিশকর্মী। তারপরেই সেখান থেকে চলে যান তিনি। এদিকে, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ধরা পড়েছে সেখানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে।

   

এই ঘটনা সামনে আসার পরই প্রয়াগরাজ পুলিশ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই, ফুলপুরের জেলা আধিকারিককে প্রয়োজনীয় তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, এই ভাইরাল ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে ফের একবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেও শুরু করেছে সব মহলে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে ভাইরাল হওয়া ভিডিও: ইতিমধ্যেই ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে নেটমাধ্যমে রীতিমতো ঝড় উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি নেটিজেনরা নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন যে, প্রয়াগরাজের পুলিশকর্মী বাল্বটি চুরি করে তার পকেটে রেখেছিলেন। এখন যোগী আদিত্যনাথ কি পুলিশকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চুরির দায়িত্বও দিয়েছেন?

পাশাপাশি আরেক নেটিজেন কমেন্ট করেছেন, যাঁরা জনগণকে রক্ষা করেন তাঁরাই এখন চুরি শুরু করেছেন। অপরদিকে, আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন যে, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর সিসিটিভি ক্যামেরায় LED বাল্ব চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। সেই সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর