বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাদ্রাসার সাম্মানিক স্তরে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও পাননি চাকরি। বারবার নির্দিষ্ট বোর্ডের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনরকম সুরাহা হয়নি। অবশেষে দীর্ঘ ১৩ বছরের সংগ্রাম শেষ হলো মাত্র ১ দিনে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৩ বছর পর চাকরির নিয়োগ পত্র হাতে পেলেন পরীক্ষার্থী। এমনকি আদালতের তরফ থেকে তাকে গত ১৩ বছরের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
গত মে মাসে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়ার আদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগ এর পরও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন নিরুত্তাপ ছিল। সেই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের অর্থাৎ এর গ্রেফতারের কথা বলতে রাতারাতি নড়েচড়ে বসে তারা। মধ্যরাতে নিয়মপত্র ও বকেয়া টাকা হাতে পেলেন মামলাকারী।
খলিলউল্লাহ বৈদ্য ২০০২ সাল নাগাদ খিদিরপুরের এক হাইস্কুলে চাকরি পান। তিনি দাবি করেছেন ২০০৮ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা সসম্মানে উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপর মাদ্রাসা কমিশন এমন একটি স্কুলে তাকে নিয়োগ দেয় যেখানে কোন শূন্য পদ ছিল না। এরপর বহুবার কমিশনের কাছে আবেদন জানালেও কোনরকম সুরাহা হয়নি। অবশেষে কোন পথ না পেয়ে তিনি দারস্ত হন কলকাতা হাইকোর্টের।
খলিলউল্লাহ বৈদ্যর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য এবং গোলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় খলিলউল্লাহ বৈদ্যকে নিয়োগের নির্দেশ দেন। বিচারপতির নির্দেশ ছিল তাকে গত ১৩ বছরের বকেয়া বেতন সহ বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার এর মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে। কমিশন সে কথা মানেনি। যা সম্পূর্ণভাবে আদালত অবমাননার সমান। এই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের করা হুশিয়ারের পর তড়িঘড়ি নিয়োগপত্র খলিলউল্লাহ এর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
খলিলউল্লাহের অভিযোগ তাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হলেও তাকে যে স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে তা তার বাড়ি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ ছিল তাকে তার বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। এই প্রেক্ষিতে তিনি আবার দারস্ত হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। আজ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।