বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ চার বছর পুরনো মানহানি দু’বছরের সাজা শুনিয়েছে আদালত। পরে জামিন পেলেও, সাংসদ পদ টিকিয়ে রাখা বেজায় কঠিন। পরিস্থিতি যাই হোক, তিনি ‘সত্যের পথেই’ থাকবেন। এমনই জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi)। গুজরাতের (Guajarat) সুরাট আদালতে সাজা ঘোষণা এবং তার পর জামিন মঞ্জুর হতেই নিজের মনের কথা তুলে ধরলেন (Rahul Gandhi Defamation Case)।
আজ বৃহস্পতিবার গুজরাতের সুরাটের জেলা আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে দু’বছরের সাজাও শোনানো হয়। এর পরই সাময়িক জামিন মঞ্জুর করা হয় রাহুলের। তাঁকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর। এরই মধ্যে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন রাহুল। তবে দু’বছরের সাজা হয়েছে যেহেতু, তাই রাহুলের সাংসদ পদ ধরে রাখা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
অবস্থা যাই হোক, নিজের অবস্থানে অনড় থাকবেন বলেই এ দিন ইঙ্গিত দিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। আদালতের রায়ের পরই ট্যুইটারে সরব হন তিনি। মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ করে তিনি লেখেন, ‘সত্য এবং অহিংসাই আমার ধর্ম। আর সত্যই আমার কাছে ঈশ্বর। আর অহিংসা হল ঈশ্বরকে পাওয়ার সাধনা’। এ দিন নাকি আদালতেও রাহুল জানান, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। তাঁর মন্তব্যে ক্ষতিও হয়নি কারওর।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল। সেই সময় কর্নাটকের কোলারে প্রচারে গিয়ে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। নীরব মোদি থেকে ললিত মোদি, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়েও মন্তব্য করেন। সেখানে কটাক্ষের সুরে রাহুলকে বলতে শোনা যায়, “কাকতালীয় ভাবে সব চোরেদের পদবী মোদি হয় কী করে?”
রাহুলের এই মন্তব্যেই বিতর্ক বাধে। দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাহুল আসলে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বলে দাবি করে বিজেপি। তাতে রাহুলের বিরুদ্ধে (অপরাধমূলক) মানহানির মামলা করেন গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেন্দু মোদি। সেই মামলারই শুনানিতে সাজা পেলেন সোনিয়া পুত্র।