বাংলাহান্ট ডেস্ক : শহিদ দিবসের জন জোয়ারের পর এটাই প্রথম তৃণমূলের প্রথম বড় সভা। এর মধ্যে ঘটে গেছে অনেক কিছু। বদলেছে পরিস্থিতি। মেয়ো রোডে টিএমসিপি-র (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের এই সভা থেকে একাধিক বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই সভা থেকে কড়া ভাষায় বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করলেন অভিষেক।
কখনও আক্রমণাত্মক, কখনও তির্যক কটাক্ষ। তীব্র আক্রমণে বিঁধলেন গেরুয়া শিবিরকে। এদিন মেয়ো রোডের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, আজকের সভার পরই হয়তো গ্রেফতার করা হবে! কিন্তু কাকে গ্রেফতার করা হবে? না কোনও নাম বলেননি তিনি। শুধুই কটাক্ষ করে বলেন, আজকের পরই হয়তো গ্রেফতার করা হবে!
অভিষেক বলেন, গত ২১ জুলাইয়ের সভার পরদিনই ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি যায় সিবিআই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। এবার আজকের সভার পরেও হয়তো কাউকে গ্রেফতার করা হবে! আর সেইজন্য অপেক্ষা করারও পরামর্শ দেন অভিষেক। অভিষেকের দাবি করেন, এভাবে কিন্তু তৃণমূলকে দমানো সম্ভব নয়। কোনওরকম কুৎসা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রোখা যাবে না। বুকে দম থাকলে, এদিন এর এক ভাগ লোক নিয়ে সভা করারও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন, সীমান্তে পাহারা দেয় বিএসএফ। সেখান থেকে কী করে গোরু পাচার হয়?বিএসএফ-এর নাকের ডগা দিয়েই কয়লা-গোরু চুরি? পাশাপাশি, বাগদা সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানের হাতে গৃহবধূর গণধর্ষণের ঘটনাতেও তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে ‘বেইমান, গদ্দার, ঘুষখোর’ বলেও আক্রমণ করেন অভিষেক। চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর যদি বুকে দম থাকে, তবে নাম নিয়ে বলুক যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তোলাবাজ! তারপর তাঁকে হাইকোর্টে মানহানি মামলায় টেনে নিয়ে যাব আমি।’
এরই সঙ্গে অভিষেক এদিন আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহকেও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে ভারতের পতাকা ধরতে ইতস্ততঃ করে দেশবাসীকে অপমান করেছেন। জয় শাহ একজন ‘কুলাঙ্গার’। অবিলম্বে তাঁকে বিসিসিআই থেকে অপসারণ করা উচিত বলেও দাবি করেন অভিষেক।