করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে পুরো মধ্য প্রদেশ হাহাকার শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই একটা অন্যরকম ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একজন মহিলা ডাক্তার তারপর বিয়ের প্রায় বাইশ বছর পর তারপর যমজ সন্তান হয়। সারোগেসি পদ্ধতি করে তবে তিনি মা হতেই পারলেন কিন্তু করোনা বাঁধা হয়ে দাড়ালো তারপর সামনে। কারণ দিনরাত তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়। করোনায় সংক্রমণ পরিবারে ব্যর্থ হওয়া উচিত নয় এবং এখানে, হাসপাতালের দায়িত্বও একটি অগ্রাধিকার। মধ্য প্রদেশের হোশঙ্গাবাদের ডাঃ শোভনা চৌকসে তাঁর নবজাতকের সাথে সময় কাটানোর অনেক ইচ্ছা করেছিলেন, তবে এই ডাক্তার করোনার সংকটে কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন এবং কাজে ফিরে এসেছিলেন।
ঐ মহিলা ডাক্তার জানান বাচ্চাদের রক্ষণাবেক্ষণ আমি করতে পারিনা। তাই সারাদিন দিন দাদা বৌদি পালন করেন আমার যমজ বাচ্চাদের
তিনি নিয়মিত বাড়িতে যেতে পারছেন না। নবজাতকের জন্মানোর পর প্রায় আট দিন হয়ে গেছে। ডিউটি করতেই গিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে বাচ্চাদের দেখচেন। ডাঃ শোভনা চৌকসের মতে সরকারী হাসপাতালের অধীনে, হোশঙ্গাবাদে ১৪০ টি গ্রাম আসে, যার জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার। তাদের সকলেরই সংক্রমণ থেকে কোরনা ভাইরাস রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে। তাই প্রায় অনেক দিন তিনি বাড়িতে ফিরতে পারেন নি।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে মৃত্যু দূত হয়ে এসে পৌঁছেছে পৃথিবীতে। প্রায় সব দেশ এখন করোনা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। দিন থেকে রাত আর রাত থেকে দিন যে কখন চলে যাচ্ছে টা বোঝার উপায় নেই। কারণ বিপদ থেকে বাঁচতে এখন সবাই গৃহ বন্দী।