বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল ময়না। দিনকয়েক আগেই শ্বশুরমশাইয়ের অণ্ডকোষ ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগে এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বৃদ্ধ শ্বশুরের পাশে দাঁড়িয়ে গৃহবধূর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এলাকাবাসীরা। এবার সেই ময়না গ্রামেই শোরগোল পড়ে যাওয়ার মত আরোও একটি ঘটনা ঘটল।
জানা গিয়েছে, ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে বেঁধে রেখে তার নিজের পুত্রবধূই ফেসবুক প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। আর তারপরেই বৃদ্ধা শাশুড়ির চিৎকারে স্থানীয় ব্যক্তিরা জড়ো হয়ে তার বাঁধন খুলে দেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় ময়না থানার গোকুলনগর গ্রামের ওই গৃহবধূর পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়।
সূত্রের খবর, তিনবছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীকে ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতেও থাকছিলেন। তবে, ব্যক্তিগত কাজের সুবাদে প্রায় যাতায়াত করতেন বলাইপণ্ডায়। সেখানেই পিংলা থানা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে ফোন নম্বর আদান-প্রদানের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে ওঠে। ফেসবুকের সৌজন্যে আরোও গাঢ় হয় তাদের সম্পর্ক। তাদের মধ্যে আরোও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকলে ওই গৃহবধূ তার ফেসবুক প্রেমিকের সাথের পাকাপাকি ভাবে থাকার ভাবনা ভাবতে থাকেন।
এরপরেই বুধবার সন্ধ্যায় ওই যুবক ফোন করেন। আর সেই ফোন পাওয়ার পরেই শাশুড়ির হাত পা বেঁধে ফেলে বউমা। এরপরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, ওই মহিলা যুবকের হাত ধরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় তার বৃদ্ধা শাশুড়ি যাতে তাকে কোনভাবেই আটকাতে না পারে সেই কারণেই শাশুড়িকে বেঁধে রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওই গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। এদিকে, স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার খবর তার কানে যেতেই তিনি বাড়ি ফিরে আসার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। অন্যদিকে ওই গৃহবধূকে আবার গ্রামে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতিমধ্যেই সালিশি সভা ডাকা হয়েছে। পুরো ঘটনায় অগ্রগামী মহিলা সমিতির ময়না শাখার সম্পাদক সবিতা দাসের শরণাপন্ন হয়েছে ওই পরিবার। এই ঘটনায় সবিতাদেবী বলেন, সালিশির মাধ্যমে গোটা বিষয়টি নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।