বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সপ্তাহখানেকের টানাপোড়েন শেষে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে সেই বৈঠক হয়। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরোন চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদল। এরপরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মমতা জানান, পদত্যাগ করবেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner) বিনীত গোয়েল। নতুন সিপি কে হবেন সেটা মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবেন বলে জানান তিনি।
বিনীতের পর নতুন সিপি (Kolkata Police Commissioner) কে?
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বিকেল ৪টের সময় পদত্যাগ করবেন বিনীত (Vineet Kumar Goyal)। এরপর ঘোষণা করা হবে নতুন পুলিশ কমিশনারের নাম। ইতিমধ্যেই পরবর্তী সিপি যে হবেন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতার নয়া পুলিশ কমিশনার হিসেবে প্রথমে উঠে আসছে নিরাপত্তা উপদেষ্টা পীযূষ পাণ্ডের নাম।
- চার নাম নিয়ে চর্চা!
সেই সঙ্গেই আরও তিনটি নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার কিংবা এডিজি আইবি জাভেদ শামিমকেও কলকাতার নয়া পুলিশ কমিশনার (Kolkata CP) করা হতে পারে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে। একইসঙ্গে চর্চায় রয়েছে অজয় রানাডেরও নামও।
আরও পড়ুনঃ ‘তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে’! আরজি কর মামলায় আর কী কী বললেন প্রধান বিচারপতি?
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner) বিনীত গোয়েল। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। গাফিলতির মতো মারাত্মক অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এরপর গত ১৪ আগস্ট রাতে হাসপাতালে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় আরও অস্বস্তি বাড়ে পুলিশের।
জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফ থেকে অনেক আগেই বিনীতের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছিল। এই দাবি সামনে রেখে লালবাজার অভিযানও করেছিলেন তাঁরা। গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, বিনীত নিজেও ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। তবে দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাঁকে সরাতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার অবশ্য জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা জানান, কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner) বিনীত গোয়েল পদত্যাগ করবেন। একইসঙ্গে ডিসি নর্থকেও সরানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকেও সরানো হচ্ছে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।