বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অভাবের সংসারে শয্যাশায়ী বাবা এবং পরিচারিকা মায়ের আয়েই কোনক্রমে দিন কাটছিল তাঁদের। কিন্তু সংসারের হাল ফেরাতে, অর্থের যোগান দিতে পড়াশুনার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেছিলেন বালুরঘাটের (Balurghat) সুজয়। আর সেই কাজ করতে করতেই রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেল ওই যুবকের।
লটারির টিকিট কাটার নেশা থাকায়, শনিবারও ৩০ টাকা দিয়ে পাঁচটি লটারির টিকিট কেটেছিল সুজয় পাহান। আর তাতেই বাজিমাৎ হয় সুজয়ের। বেঁধে যায় প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা। দুঃখের দিন এবার ফুরোবে বলে আশা করছে সুজয় এবং তাঁর পরিবার।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বেলঘড়িয়া এলাকার বাসিন্দা সুজয় পাহান এবং তাঁর বাবা মা। বাবা কিছুদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী হয়েছেন। আর সুজয়ের মা লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। কিন্তু মায়ের উপার্জিত অর্থে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছিল না বলে, পড়াশুনার পাশাপাশি কাজে লেগে পড়ে সুজয়।
রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও, লটারির টিকিট কাটার নেশা ছিল সুজয়ের। আর সেই নেশার বশেই শনিবার সন্ধ্যে নাগাদ ৩০ টাকা দিয়ে পাঁচটি লটারির টিকিট কাটেন। রবিবার যথারীতি টিকিটের নম্বর মেলাতে গিয়েই, আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় সুজয়। ভালো করে টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখে, প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা তাঁরই বেঁধেছে।
সুজয়ের এই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অভাবের সংসারে সুদিন দেখতে পেয়ে আপ্লুত সুজয়ের বাবা মাও। তবে এই আনন্দের মাঝে এক চিন্তা গ্রাস করেছে সুজয়কে। এত টাকার মালিক হওয়ার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় পুলিশের দারস্থও হয় সুজয়।