৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার এক বছরের মধ্যেই ভালোবাসা পরিণতি পেল বিবাহ বন্ধনে, এক হল ভারতীয় সৈনিক এবং কাশ্মীরী মেয়ে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জম্মু কাশ্মীর (jammu and kashmir) থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে অনেক সমস্যার কথা সামনে এনেছিল। কিন্তু এই আইনের ফলে একরাশ খুশি বয়ে এসেছে এক নব দম্পতির জীবনে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পরই কাশ্মীরের মেয়ে, মহারাষ্ট্রের সৈনিকের স্ত্রীয়ের মর্যাদা পেয়েছে।

মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সদারা জেলার কারার তহসিলের উড়ালে গ্রামের অজিত প্যাটেল, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এডুকেশন ইন্সট্রাকক্ট্রের পদে রয়েছেন। অপরদিকে, জম্মু কাশ্মীরের কিস্টবারা জেলার যোধানগর পারমাও জেলায় বাসিন্দা হলেন সুমন। অজিত প্যাটেল এবং সুমনের দেখা হয় প্রথমবার সুমনের গ্রামে। তারপর দুজনের মধ্যে একটি মিষ্টি ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

bgkbkvfbkb

ভালোবাসার বাঁধ না মানলেও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সরকার। কিন্তু ৫ ই আগস্ট কেন্দ্র সরকার জম্মু কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে নেওয়ায় তাদের জীবনে খুশির বাহার নেমে আসে। ২০২০ সালের ১৭ ই নভেম্বর তাদের ভালোবাসা পরিণতি পায় বিবাহ বন্ধনে।

দুই পরিবারের উপস্থিতিতেই কাশ্মীরে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সকলেই নব দম্পতিকে আশির্বাদ করেন। নতুন জীবনে প্রবেশ করে অজিত প্যাটেল বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার যদি কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে না নিত, তাহলে আমাদের এই বিয়েটাই সম্ভব হত না। আমি যখন ঝাঁসিতে পোস্টিং ছিলাম, তখন সুমন সেখানে তাঁর বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। আর সেখান থেকেই আমাদের ভালোবাসার শুরু। এরপর আমি ওর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ৯ দিনের জন্য জম্মু কাশ্মীরে গিয়ে লকডাউনে ৩ মাসের জন্য সেখানে আটকে যাই। তখন ওঁর পরিবারের সঙ্গে আমি আরও ভালো ভাবে মিশে যাই’।

vbjhbbb

বিয়ের পর নতুন পরিবেশে গিয়ে খুবই আনন্দিত নববধূ সুমন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এখন ক্লাস 12 -এর পড়ছি। এই কোর্সটা শেষ করব। আমার শ্বশুরবাড়ির সকলেই খুব ভালো। মহারাষ্ট্রের পরিবেশও ভালো, এখানে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরাও করা যায়’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর