উহানের পর এবার চীনের বেজিং শহরে ছড়িয়ে পড়লো করোনা ভাইরাস, চিন্তায় জিনপিং সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রথম করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল চীন (china) থেকেই। আর তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। আর এই মারণ ভাইরাস যেন মৃত্যুর হাতছানি দিয়েছিল সর্বত্রই। এই ভাইরাসের প্রভাব চীনের অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু আবারও নতুন করে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে (Beijing) আবারও এই সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।  যেখানে করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাজার।

 

জানা গিয়েছে, নতুন করে করোনা সংক্রমণ চোখে পরলে রাজধানী বেজিংয়ের একাংশে ফের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি মাস অর্থাৎ জুনমাসে মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রত্যেকদিন বাড়বে। শুধু তাই নয়, জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে দিনে ১৫ হাজার করে বাড়বে।

এমনকি বন্ধ রাখা হয়েছে দক্ষিণ বেজিংয়ের এগারোটি আবাসন। মাংসের বাজারের খুব কাছেই নতুন করে ধরা পরেছে করোনা ক্লাস্টার। সাতটি ঘটনা জিনফাদি মিট মার্কেট থেকে, এদের মধ্যে ছয়’জনের বিষয়ে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি নয়’টি স্কুল এবং কিন্ডারগার্ডেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উহান প্রদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের ছয়’মাস পরেই চিন ভ্যাক্সিন তৈরিতে তৎপরতা দেখিয়েছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও অংশগ্রহণ করেছে চিন। প্রথমে মানুষ, বাঁদরের উপর পরীক্ষামুলকভাবে তা করা হয়েছে এবং সাধারন মানুষের জন্য তা এই বছরেই উপলব্ধ হবে বলেও জানা গিয়েছে।

চিন থেকেই যে করোনা ভাইরাসের সূত্রপাত, সেকথা এতদিনে মোটামুটি প্রমাণিত। কিন্তু ঠিক কবে থেকে আবির্ভাব হল করোনার? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এখনও সন্দেহ আছে।

 

উহানের হাসপাতালের পার্কিং লটের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। তাতে দেখা যাচ্ছে খাতায়-কলমে ২০১৯ থেকে করোনা মহামারি শুরু হলেও তার আগে থেকেই উপসর্গ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছিল উহানের বাসিন্দারা। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, গত অগস্ট থেকে ডায়েরিয়া ও কাশির উপসর্গ নিয়ে অনেকেই সার্চ করতে থাকে, যা অন্য কোনও ফ্লু-র সময় দেখা যায়নি। হাসপাতালের কার পার্কে গাড়ির সংখ্যাও বেড়ে যায়।

চিন আশাবাদী যে ২০২১ সালের শুরুর দিকে ভ্যাক্সিন তৈরি করে বাজারে আনতে সক্ষম হবে দেশ। কিছু অভিভাবকরা ইতিমধ্যেই চিনের তৈরি ওষুধ বাচ্চাদের খাইয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পেয়েছেন এবং সে বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

 

সম্পর্কিত খবর