বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবশেষে যবনিকা পতন। বহু জলঘোলার পর গতকালই পাকিস্তানে পতন হয়েছে ইমরান খান সরকারের। কিন্তু কে হবেন সেদেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী তা নিয়েই এবার শুরু চাপানউতোর। জানা যাচ্ছে, আগামীকালই অর্থাৎ ১১ এপ্রিল নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য একটি বৈঠক ডেকেছে পাক অ্যাসেম্বলি। সেই বৈঠকেই ঠিক করা হবে কে বসবেন পাকিস্তানের মসনদে।
সেদেশের সংবাদমাধ্যমের দেওয়া খবর অনুয়ায়ী, সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ অ্যাসেম্বলি হাউসের সদস্যরা বৈঠক সারবেন। আর এর পরই নির্বাচন করা হবে নতুন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের আয়াজ সিদিক জানিয়েছেন, ‘রবিবার দুপুর দুটোর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে হবে। এরপর বিকেল তিনটে নাগাদ মনোনয়ন স্ক্রুটিনি করে নির্বাচন করা হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী।’
প্রথমে অবশ্য এই বৈঠক সকাল ১১ টায় হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সিদিক। কিন্তু পরবর্তীতে এই সময়ে বেশ কিছু সমস্যা এসে যাওয়ায় পাকিস্তান পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ১১ টা নয়, বরং ২ টো থেকেই শুরু হবে অধিবেশন।
কিন্তু ইমরান খানের পতনের পর এবার কে বসতে চলেছেন পাকিস্তানের মসনদে তা নিয়ে জোর জল্পনা গোটা বিশ্ব জুড়েই। উঠে আসছে একাধিক নাম। যদিও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বাকিদের অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ এর সভাপতি তিনি।
আগেও ২০১৮ সালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে শাহবাজকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ। কিন্তু সেবার ভোটে জয়লাভ করে গদিতে বসেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রীর পদ না পেলেও তিনবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। ২০১৮ সালে হারের পর বর্তমানে পাকিস্তানের সংসদে বিরোধী দলনেতা তিনি। ২০২০ সালে অস্ত্র পাচারের মামলায় জেলেও গিয়েছেন তিনি। শেষমেশ ২০২১ সালে মুক্তি পান জামিনে। সেই সময় মুসলিম লিগের এই নেতার দাবি ছিল যে রাজনৈতিক বিদ্বেষের জন্য ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।
অন্যদিকে আবার এই দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন বিলাবল ভুট্টোও। তবে শেষমেষ কার দখলে যায় পাকিস্তানের মসনদ তাই এখন দেখার।