বাংলাহান্ট ডেস্ক: অবিশ্বাস্য! এই কথাটাই মুখ ফুটে বেরোচ্ছে সবার। আবারো উদ্ধার হল এক মডেলের (Model) ঝুলন্ত দেহ। গড়ফা, নাগেরবাজার, পাটুলির পর অকুস্থল এবার কসবা (Kasba)। বেদিয়াডাঙা এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে উঠতি মডেল সরস্বতী দাসের (Saraswati Das) ঝুলন্ত দেহ। তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর।
জানা গিয়েছে, কসবায় ওই মডেলের মামারবাড়ি রয়েছে। সেখানেই থাকতেন সরস্বতী। রবিবার নিজের দিদার সঙ্গে বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। তখনি তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান পুলিসের। ইতিমধ্যেই ঘটনা স্থলে পৌঁছেছে কসবা থানার পুলিস।
জানা যাচ্ছে, মডেলিং জগতে ধীরে ধীরে নিজের অবস্থান তৈরি করছিলেন সরস্বতী। সম্প্রতি কিছু ফটোশুটের কাজও করেছিলেন। এত অল্প বয়সে জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো চরম পদক্ষেট তিনি কেন নিলেন তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনার নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিস।
গত দু সপ্তাহ ধরে টেলিপাড়ায় যেন তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। প্রথমে ১৫ মে গড়ফায় ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ। ওই ফ্ল্যাটে প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতেন তিনি। সাগ্নিকই প্রথম পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখে পুলিসে খবর দেন।
এদিকে সাগ্নিকের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃত পল্লবীর বাবা মা। দেহ উদ্ধার হওয়ার পরদিনই গড়ফা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেত্রীর বাবা নীলু দে এবং সঙ্গীতা দে। এখনো পুলিসি হেফাজতে রয়েছেন সাগ্নিক।
তার ঠিক দশ দিন পর নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ। কেরিয়ারের চাপ নাকি সম্পর্কে টানাপোড়েন? বিদিশার মৃত্যুর কারণ এখনো খুঁজছে পুলিস। জেরা করা হচ্ছে বিদিশার প্রেমিক অনুভব বেরাকে। তার ঠিক পরের দিনই পাটুলি থেকে উদ্ধার হয় মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ। পরপর এমন আত্মহত্যার ঘটনায় স্তব্ধ টেলিপাড়া।