বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফিরে এল ৩ বছর আগের স্মৃতি। আবারও ফাটল ধরল বউবাজারের (Bow Bazar) বাড়িতে। মেট্রো রেলের (Kolkata East West Metro) কাজের কারণেই বউবাজারের ১০টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে জানা যাচ্ছে। আতংকে ভোররাত থেকেই ঘরছাড়া একাধিক পরিবার। এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিস। বারংবার বাড়িতে ফাটল ধরায় স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের উপর। অভিযোগ, ফাটলের কথা জানানোর পরও মেট্রো রেলের প্রতিনিধিরা আসেন নি। অনেক পরে মেট্রো রেলের পক্ষ থেকল তিন জন প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়। তবে তাদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দেন বাসিন্দারাই। এরপর এলাকা পরিদর্শনে আসেন মেট্রো রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা।
২০১৯ সালে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিপত্তি শুরু হয়। বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে যায়। ভেঙেও পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি। ৬০০-রও বেশি বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। চলতি বছরের মে মাসেও দুর্গাপিতুরি লেন, মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের হোটেলে সাময়িকভাবে স্থানান্তরিত করা হয়। আজ আবারও একাধিক বাড়িতে দেখা গেল ফাটল।
জানা গিয়েছে, ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এই ফাটল ধরেছে। কমপক্ষে ১০টি বাড়িতে একসঙ্গে ফাটল ধরেছে। ভোর রাত থেকেই বাড়ির বাসিন্দারা ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়ে রাস্তায় বসে রয়েছেন। এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিস। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি। ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা আসেন।
বারংবার বাড়িতে ফাটল ধরায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানান, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া অবধি তাঁরা কোথাও যাবেন না। বারবার হোটেলে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই পুলিসের সহায়তায় হোটেলে চলে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এলাকার কাউন্সিলর বিশ্বরুপ দে। তিনি ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। তিনিও গোটা ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশ্বরুপবাবু বলেন বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কে দায়িত্ব নেবে এই মানুষগুলির? শুধুমাত্র মেট্রো কর্তৃপক্ষের জন্য বউবাজার স্ট্রিট ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। আমরা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে লিখিত বয়ান চেয়েছি।’ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন মেট্রো রেলের তিন প্রতিনিধি। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা প্রবল বিক্ষোভে তাঁরা এলাকায় ঢুকতেই পারেননি বলেই জানা যাচ্ছে।