বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতায় (Kolkata) ফের জাল নোটের বান্ডিল (Fake Currency Seized) উদ্ধার হল। এবার অভিযুক্ত ধরা পড়লো তপসিয়া (Topsia) থেকে। ক্যানিংয়ের পর তপসিয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দুঁদে অফিসাররা (Special Tusk Force) এক বাক্যেই মেনে নিয়েছেন যে, শহর জুড়ে বেড়ে চলেছে জাল নোটের কারবার। পুলিশ সূত্রে খবর, তপসিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় দেড় লক্ষ টাকার জাল নোট নিয়ে অভিযুক্তের চম্পট দেওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল। এই ঘটনার ফলে ওই এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর, যে ব্যক্তি এই জাল নোটের কারবারের সাথে যুক্ত তাঁর নাম রফিকুল শেখ। অনেক দিন ধরেই পুলিশ তাঁকে তাঁকে নজরে নজরে রেখেছিলো। শেষ পর্যন্ত আজ ধরা পড়লো সে। পুলিশ জানায় এই জাল নোটের কারবার করতে গিয়ে সে আগেও একবার ধরা পরে, জেলও হয় তাঁর। কিন্তু আবার জেল থেকে মুক্তি পেয়েই সে আবার সেই একই ব্যবসায় আবার ধরা পড়লো।
পুলিশ আরও জানায় যে, রাজ্য জুড়ে জাল নোটের ব্যবসা ক্রমাগত বাড়ছে। এর আগে ২৮শে ডিসেম্বর, ক্যানিং থানার তালদি বাস স্ট্যান্ডের কাছে একটি জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল কাড়ি কাড়ি টাকার বান্ডিল। ক্যানিং থানার পুলিশই সেই টাকা উদ্ধার করে। পুলিশ তাঁদের গোপন সূত্র মারফত জাল নোট সংক্রান্ত খবর পায়। তারপর সেই সূত্রের ওপর ভিত্তি করে তাঁরা দুজনকে পুলিশ কাস্টডিতে নেয়।
জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা এই নোট বাজারে চালানোর চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ক্যানিংয়ের যে দুজন দুষ্কৃতী এই জালি নোট কাণ্ডে ধরা পড়ে তাঁদের নাম হলো সইফুদ্দিন গাজি এবং আবদুর রহমান হালদার ওরফে মনি। তাঁরা দুজনেই ক্যানিংয়ের বাসিন্দা। তাঁদের বাড়ি ক্যানিংয়ের পূর্ব বয়ারসিং এবং শিবনগর এলাকায়।