বাংলা হান্ট ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ফিরেছে মহাকুম্ভ (Kumbh Mela)। কিন্তু সেখানে যেন বিপর্যয় পিছু ছাড়ছে না। একদিন আগেই মৌনী অমাবস্যায় শাহি স্নান করতে গিয়ে বিরাট বড় অঘটন ঘটে যায়। সেই আতঙ্কের কথা এখনও ভুলতে পারেনি কেউই, আর এবার তারই মাঝে আগুন লাগল মেলা প্রাঙ্গণে। জানা গিয়েছে, আগুন লেগেছে কুম্ভ মেলার সেক্টর ২২-এ। পুড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি তাঁবু। কিন্তু কিভাবে লাগল আগুন?
কুম্ভ মেলায় (Kumbh Mela) ফের আগুন লাগল:
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে কুম্ভ মেলার (Kumbh Mela) সেক্টর ২২-এর একটি তাঁবুতে আগুন লাগে। আর আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তা নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। জুনা আখড়ার প্রায় ১৫টি তাঁবু পুড়ে গিয়েছে বলে খবর। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কুম্ভ মেলার চমনগঞ্জের কাছে রয়েছে ওই তাঁবুগুলি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী। এমনকি প্রশাসনের আধিকারিকেরাও তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছে যান বলে জানা যায়।
দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, “রাস্তা না থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে”। যদিও কারোর কোনও ক্ষতি হয়নি। তাঁবুতে সে সময় কোনও মানুষজন না থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এদিকে প্রশ্ন উঠছে ঠিক কিভাবে আগুন লাগল? যদিও এই বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে জোড়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝা! ভরা মাঘে উধাও শীত, তাপমাত্রা চড়ল ২১ ডিগ্রিতে
একেই বুধবার পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে কুম্ভ মেলায় (Kumbh Mela) শাহি স্নানের জন্য মঙ্গলবার রাত থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। কিন্তু ভক্তদের সমাগম এতটাই বেশি হয়ে পড়ে যে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। আর সেখান থেকেই ঘটে বিপত্তি। যদিও এই ঘটনার পর শাহি স্নান দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু এদিকে ঘটনার পরের দিন আবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটে গেল কুম্ভ মেলায়।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মীদের জন্য বড় খবর! এবার কড়া নির্দেশ দিয়ে দিলেন কমিশনার! উড়ল রাতের ঘুম
প্রসঙ্গত, এর আগেও কুম্ভ মেলায় (Kumbh Mela) আগুন লাগে। চলতি মাসের ১৯ জানুয়ারি মেলা প্রাঙ্গণে আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছিল প্রায় ১৮০টি তাঁবু। আর এবার ৩০ জানুয়ারি ফের তাঁবুতে আগুন। কুম্ভ মেলায় বারবার এমন বিপর্যয়ের কারণে প্রশ্নের মুখে পড়ছে যোগী সরকার। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সুরক্ষার কারণে কুম্ভ মেলায় ৫০টি অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র রয়েছে। ২০০০ দমকল কর্মী দিন-রাত কাজ করছেন, এমনকি দমকলের ৩৫০টি ইঞ্জিনও রয়েছে। কিন্তু তারপরও এমন ঘটনার কারণে মানুষ যেন ক্রমশ ভীত হয়ে পড়ছেন।