বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে আবারও হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসছে। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে কয়েকহাজার মানুষ ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। গ্রামে উপদ্রবিদের তাণ্ডবের পর হিন্দুরা আতঙ্কে ভুগছে। সুনামগঞ্জের জেলাশাসক মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে এক হিন্দু ব্যক্তি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। আর এরপর মামুনুলের অনুগামীরা বুধবার সকালে ওই হিন্দু গ্রামে হামলা করে।
মামুনুলের কয়েক হাজার অনুগামী ওই গ্রামের প্রায় ১০০ টি হিন্দুর বাড়িতে ভাঙচুর আর লুটপাট চালায়। এছাড়াও খান দশেক হিন্দু মন্দিরেও ভাঙচুর চালায় ওঁরা। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপদ্রবিদের হামলার পর গ্রামবাসীরা নিজের গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। পরে পুলিশ এলে তাঁরা আবার ধীরে ধীরে ফিরে আসে।
ওই হিন্দুগ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যায়। এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ, প্রশাসন সক্রিয় হলেও নিরীহ হিন্দুদের মন থেকে আতঙ্ক দূর হচ্ছে না। জেলাশাসক মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত সোমবার সুনামগঞ্জের পাশের জেলায় একটি সমাবেশ করেছিলেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক। আর তাঁর পরের দিন নোয়াগাঁও গ্রামের এক হিন্দু যুবক হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুলকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
ওই হিন্দু যুবকের স্ট্যাটাসের প্রতিবাদে মঙ্গলবার হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল। এরপর পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে পেশ করে। আইন নিজের পথেই চলছিল। কিন্তু কট্টরবাদী মানসিকতা পালন করা মানুষরা আইন মানেনা। আর এরপরই ওই হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে হামলা চালায় হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা।
আরেকদিকে, হেফাজতে ইসলাম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংগঠনের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা কোনওদিন হিন্দুদের উপর হামলা চালানোর কথা বলিনা। এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।