বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যেই আর জি করের (RG Kar) ঘটনা নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় এবার সেই মামলাতে আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআইয়ের (CBI) ভূমিকা। শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিল সঞ্জয়।
CBI এর ওপর ক্ষুব্ধ আদালত…
আদালত সূত্রে খবর, এদিন সব পক্ষ উপস্থিত থাকলেও শুনানি শুরু হয়ে যাওয়ার পরই সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার না আসায় ক্ষুব্ধ হন বিচারক। কেন সিবিআইয়ের আইনজীবী আসেন নি তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ আদালত। সিবিআইয়ের তরফে যিনি সহকারী তদন্তকারী আধিকারিক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তাকে প্রশ্ন করে বিচারপতি বলেন, ”তবে কি এই মামলায় জামিন দিয়ে দেব সঞ্জয় রায়কে?”
বিচারকের মন্তব্য,’এই মামলার গুরুত্ব বোঝা উচিত, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।’ অভিযোগ এদিন শুনানি শুরু হওয়ার পরও দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। এরপর এজলাসে থাকা CBI-র সহকারী তদন্তকারী আধিকারিককে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান ওই আধিকারিক।
ফোনে কথা বলে কিছু ক্ষণ পর আদালত কক্ষে ফিরে এসে তিনি বলেন, ‘আইনজীবী কিছু ক্ষণের মধ্যেই আদালতে পৌঁছে যাবেন।’ যা শুনে রীতিমতো বিরক্ত হন বিচারক। সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ”তবে কি জামিন দিয়ে দেব? এখন সাড়ে ৪টে বাজে, আইনজীবী আর কখন আসবেন?”, যদিও জানা যায় তার বেশ কিছু ক্ষণ পর হলে সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে পৌঁছেছেন। চলছে শুনানি।
আরও পড়ুন: খুলল কপাল? সুপ্রিম কোর্টে SSC ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় বিরাট আপডেট
২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয়ের জেল হেফাজত…
সূত্রের খবর, এদিন সিবিআই এর ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন অভিযুক্তর আইনজীবিও। এরপর ভার্চুয়াল মাধ্যমে অভিযুক্তকে হাজির করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। সিবিআই তরফে ধৃত সঞ্জয় রায়ের জামিনের বিরোধিতা করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। ওদিকে সঞ্জয়ের আইনজীবীর তরফে তার জামিনের আর্জি জানানো হয়। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক অভিযুক্তর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ।