বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চতুর্থীর গভীর রাতে আচমকাই বিকট শব্দে ঘুম ভাঙল এলাকাবাসীর। ভয়াবহ বিস্ফোরণে উড়ে গেল বীরভূমের (birbhum) হেতমপুরের গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছাদ। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়েই। এখনও অবধি কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
চতুর্থীর রাতে বীরভূমের হেতমপুরের চম্পানগরী গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে যায়। স্থানীয় এলাকায় ওই দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রের মধ্যেই একটি ক্লাব ছিল। চিকিৎসা কেন্দ্রের একটি ঘরে চিকিৎসক এবং অন্য ঘর ছিল রোগীদের জন্য। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েতের উদ্যোগেই এই দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় থেকেই চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ করে রেখে যায় চিকিৎসকরা এবং বাকি একটি ঘরের চাবি থাকে শেখ হানিফ নামে পার্শ্ববর্তী এক ব্যক্তির কাছে।
এলাকায় এমন একটি ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। চিকিৎসাকেন্দ্রের ভেতরে থাকা ক্লাবtrই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং আগে থাকতেই সেখানে বিস্ফোরণ রাখা ছিল বলেও ধারণ করা হচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সেখানে বোমা মজুত রাখা হয়, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তৃণমূল বিজেপি একে অপরকে দোষারোপ করছে এই দুর্ঘটনার জন্য। ঘটনায় তৃণমূল (All India Trinamool Congress) অভিযুক্ত বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। প্রায় দেড় বছর আগে একবার দুই তৃণমূল নেতার কারণে ওই এলাকায় একবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়েছিল। এই দুজনের মধ্যে একজন আবার শেখ হানিফ, যার কাছে চিকিৎসাকেন্দ্রের এক ঘরের চাবি থাকত, তাঁর সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।