কলকাতায় কেলেঙ্কারি! ফের উদ্ধার হল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা সহ রুপোর কয়েন! ব্যবসায়ীর অফিস ঘিরে রহস্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : SSC কাণ্ডে টাকা উদ্ধারের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হল কলকাতায়। কলকাতার লালবাজার এলাকায় এক ব্যবসায়ের অফিস থেকে এই টাকা উদ্ধার করেছে সিআইডি। জানা যাচ্ছে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমান প্রায় ৩ লক্ষ ৩১ হাজার। লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হওয়ার সাথে সিআইডি দল উদ্ধার করেছে ২৫০ টি রুপোর কয়েন।

বিকানের বিল্ডিংয়ের এই অফিসটি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। সিআইডি অফিসারেরা তালা ভেঙে ওই অফিসের মধ্যে প্রবেশ করলে উদ্ধার করা হয় লক্ষাধিক টাকা ও বেশ কিছু রুপোর কয়েন। সিআইডির উচ্চপদস্থ কর্তাদের নেতৃত্বে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে চলে তল্লাশি।

প্রসঙ্গত গত শনিবার ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই সিআইডি দল আজ তল্লাশি চালায় কলকাতার লালবাজারের এই অফিসে। সুত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে, ওই অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। অফিসের বেশ কিছু কম্পিউটার থেকেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। এর ফলে তদন্তের স্বার্থে কম্পিউটার গুলির হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি। যে অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে জানা যাচ্ছে সেই অফিসটি মহেন্দ্র আগারওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর। যদিও এখনো তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিআইডি। তাকে ধরার জন্য তদন্ত চালানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত গত শনিবার সন্ধ্যে হাওড়ার পাঁচলা অঞ্চল থেকে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে বিপুল পরিমাণ টাকা সহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪৯ লক্ষ টাকা কিভাবে এলো তা জানতেই কোমর বেঁধে নেমেছে তদন্তকারীরা। এই প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের এক কংগ্রেস বিধায়ক জানিয়েছেন সরকার ভাঙ্গার জন্যই এই টাকার লেনদেন হচ্ছিল। ধৃত বিধায়কদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে সিআইডির পক্ষ থেকে। ধারণা করা হচ্ছে গত ২০ জুলাই ও গত শুক্রবার গুয়াহাটির বৈঠকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধার্থ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর