বাংলা হান্ট ডেস্ক : নির্বাচনে রাজ্যের শাসক শিবিরের ফলাফল কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে তাই এ বার রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের নিজের দখলে আনার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা যদিও বুঝতে বাকি নেই কারোরই। বেতন সংক্রান্ত ক্ষোভ মেটাতে ছুটি দিয়ে কর্মচারীদের খুশি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তো গোটা অক্টোবর মাসে মাত্র কর্মক্ষেত্রে হাজির হতে হবে 11 দিন। 20 দিনের ছুটি। যেহেতু অক্টোবর মাস মানেই উত্সবের মাস তাই 31 দিন মাস হলেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এই মাসে বেশ কিছু ছুটি পাওয়া যায় কিন্তু এ বছর সেই ছুটির পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার।
2 অক্টোবর গাঁধী জয়ন্তী উপলক্ষে ছুটি ছিল তার পরেই পুজোর মরসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় টানা 15 অক্টোবর অবধি ছুটি চলছে, 16 অক্টোবর স্কুল সহ সমস্ত সরকারি দফতরগুলি খুলে গেলেও 30 অক্টোবর অবধি আবার ছুটি। আর এতেই ক্ষোভ বেড়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদের। যদিও রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তে ছুটির উত্সবে অস্বস্তি বোধ করছেন সরকারি কর্মচারী এবং সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলিও। একই সঙ্গে বিরোধী কর্মচারী সংগঠনগুলির মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
যেহেতু বার বার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আর্থিক দুর্গতির কথা তুলে ধরেছিলেন তাই সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল জানিয়েছেন, এই রাজ্যের বৃদ্ধাশ্রম এবং হলিডে হোমের সরকার চলছে, একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন এই ধরনের সরকার আমাদের দেশের অন্য কোনও রাজ্যে নেই। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফলাও করে বলেন যে উন্নয়নের সব কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে সেখানে তো একটাই গান বাজবে তা হল- আমাদের ছুটি ছুটি চল নেব লুটি ওই আনন্দ ঝরনা।
তবে শুধুমাত্র গান গেয়েই থেমে থাকেন নাই বেতন কমিশনের প্রসঙ্গ এনে সরকারি কর্মচারীদের বেতনের চার বছরের বকেয়া রাজ্য সরকার মেরে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্যের আহ্বায়ক তপন গড়াই ছুটি নেওয়ার ফলে অফিসের কর্মসংস্কৃতি বেড়েছে বলে মন্তব্য করে, বেশি ছুটি হলেও কাজ যে বেশি হয় তা ও জানান তিনি। তবে বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে এনেই তিনি আরও বলেন সেই সময়ের কর্ম সংস্কৃতি ছিল না।