প্রাথমিক শিক্ষকদের টানা পনের দিনের অনশনের মুখে পড়ে শিক্ষক সংগঠনের সভা থেকে শিক্ষামন্ত্রী গ্রেড পে বৃদ্ধির কথা ঘেষণা করেছিলেন। শুধু ঘোষণাই নয় এই মর্মে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। আগষ্ট মাস থেকেই নতুন হারে বেতন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হল না। মিলল না বর্ধিত হারে বেতন। বরং বহাল রইল পুরানো হারের বেতন, এমনটাই অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের।
গ্রেড পের বৃদ্ধির দাবিতে গত জুলাই মাসে অনশনে বসেছিলেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ। উস্তি ইউনাটেড প্রাথমিক টির্চা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও শিক্ষকদের লাগাতার বিক্ষোভের জেরে শিক্ষা দফতরের তরফে গ্রেড পে বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু অগাষ্ট মাসের বেতন ঢুকেছে শুক্রবার। কিন্তু বর্ধিত হারে বেতন না পেয়ে কার্ত ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। প্রশ্ন উঠছে গ্রেড পে বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে বর্ধিত হারে বেতন দেওয়ার কথা ঘোষণা হলেও তা কেন কার্যকর হল না, আর এই অভিযোগেই সামাজিক মাধ্যম জুড়ে বিদ্রোহ শুরু করেছেন শিক্ষাকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, শিক্ষক আন্দোলন চলাকালীন প্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড পে এক হাজার টাকা এবং অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড পে ছশো টাকা বৃদ্ধি করা হয়। শিক্ষামন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা। কিন্তু মাস পেরতেই কাজের কাজ কিছুই হল না। ধোপে টিকল না শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা। তাই প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ না হওয়ায় প্রতারণারও অভিযোগ তুলছেন শিক্ষকরা। আর এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উস্তি ইউনাইটেডের রাজ্যসভাপতি জানিয়েছেন দাবি অনুযায়ী শিক্ষকদের ফিটমেন ফ্যাক্টর দেরিতে হলেও দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে ফিটমেন ফ্যাক্টর যেন নির্ভুল হয় এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। আর তা নাহলে আবারও রাস্তায় নামার হুমকি দেন তিনি।